স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ মে : উন্নয়নমূলক কাজে বাধা এবং দুর্নীতির জন্য বারে বারে পূর্বহুরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আসে। আগে দুইবার ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ৭ জন সদস্য প্রধান বেলা ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। আগের দুইবার অনস্থা প্রস্তাব কার্যকর না হলেও ৩ মে তৃতীয় বার প্রধানের বিরুদ্ধে আটজন পঞ্চায়েত সদস্য তাদের অনস্থা প্রস্তাব আনে।
সেই প্রস্তাবকে প্রাধান্য দিয়ে ৩০ মে পঞ্চায়েতে কদমতলা ব্লকের পঞ্চায়েত অফিসার হেলাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে ভোটদান পর্ব সম্পন্ন হয়। ভোট দান পর্বে অনস্থার পক্ষে আটজন সদস্য এবং অনাস্থার বিপক্ষে পাঁচজন সদস্য ভোট দেয় বলে জানান পঞ্চায়েত অফিসার হেলাল উদ্দিন। ভোট পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য রজল সিনহা জানান দীর্ঘদিন যাবত এই পঞ্চায়েতের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে আছে। প্রধান সঠিকভাবে পঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকেন না। তাছাড়া আগে যে সাতজন পঞ্চায়েত সদস্য অনস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রতারিত করা হচ্ছে। এমনকি কোন সরকারি অনুষ্ঠানে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না শুধুমাত্র তাই নয় তাদের মাসিক সাম্মানিক বন্ধ করে রেখেছেন প্রধান বেলা ঘোষ। পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য শেষ যে ৫ লক্ষ টাকা এসেছিল তা এখনো ব্যয় হয় নি।
এলাকার মন্ডল সভাপতি সুদীপ দেব এবং বিজেপি নেতা কনক নাথের উস্কানিতে প্রধান বেলা ঘোষ এ পঞ্চায়েতে যা ইচ্ছে তাই করে গেছে বলে অভিযোগ। রজল সিনহা জানান এভাবে দুর্নীতি চলতে থাকলে একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আসবে। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদেরকে তিনি সদ্য বিজেপিতে আসা স্বার্থন্বেষী নেতা বলে বর্ণনা করেন। এখন পর্যন্ত কোন সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও কদমতলা ব্লকের পঞ্চায়েত অফিসার হেলাল উদ্দিন জানিয়ে দেন অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ৮ জন এবং বিপক্ষে পাঁচজন ভোট দিয়েছে। বিজেপি দলের সদস্যরা জানান পার্টি ঠিক করবে পরবর্তী প্রধান কে হবেন। আজকের এই অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটদান পূর্বে উপস্থিত ছিলেন বাগ বাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল নাথ, উত্তর জেলা বিজেপি দলের সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ সহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীরা।