স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জানুয়ারি : বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জীবনকে বিপদে ফেলার জন্য পাঞ্জাবের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শহরে ধিক্কার মিছিল সংঘটিত হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদেশ বিজেপি কার্যালয় থেকে একটি মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন্তা ধারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব, তাঁর মুখ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকেরা এটা চাইছে না। তারাই ষড়যন্ত্র করে প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়। তার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে দেশ। তিনি আরও বলেন সকলে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। কিন্তু যেই ষড়যন্ত্রকারীরা এই ষড়যন্ত্রের জ্বাল বুনেছিল তাদের সঠিক বিচার চায় ত্রিপুরাবাসী, যুব মোর্চার কার্যকর্তারা। তার জন্য এই মশাল মিছিলের আয়োজন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই নাকারাত্মাক মানসিকতা ও কংগ্রেসের জন্মের স্বভাব ভীরুতার তীব্র ধিক্কার জানায় বিজেপি। এই ঘটনার জন্য ভারতবর্ষের মানুষ ক্ষমা করবে না কংগ্রেসকে। তার জবাব ১৩০ কোটি দেশবাসী নিশ্চিত দেবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে । মশাল হাতে মিছিলে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রাজধানীর প্যারাডাইস চৌমুহনীতে হয় সভা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার সরযন্ত্র করার যে চক্রান্ত কংগ্রেস করেছে তাতে ভারতবর্ষের মানুষ তাদের ছাড়বে না। ত্রিপুরাবাসীও ক্ষমা করবে না। ৪ জানুয়ারী রাজ্যবাসীকে সম্বোধন করার জন্য আসেন। অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে সেদিনের সমাবেশে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরার কাছে লোকপ্রিয় ব্যক্তি এমনটা নয়। সমগ্র দেশের কাছে লোকপ্রিয় ব্যক্তি। ভারতের পরিচয় নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছে। আগামী ৬ দিন গৃহীত কর্মসূচী সঠিক ভাবে করার আহ্বান জানান তিনি। যারা এই কান্ড ঘটিয়েছে তারা কেবল নরেন্দ্র মোডীর শত্রু নয়। ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসী ও ১৩০ কোটি ভারতবাসীর শত্রু বলেও জানান তিনি। তবে মোদীর সঙ্গে ভারতবাসী আছে। তাঁকে কেউ হত্যা করতে পারবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী না থাকলে সিপিএম ও কংগ্রেস মিলে ভারত বর্ষকে শ্মশান বানিয়ে ছাড়ত বলে জানান তিনি। এদিকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরনের নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবে। এর তীব্র ভাষায় নিন্দা জানানো হচ্ছে প্রদেশ বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু এভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রুখতে পারবে না বলে জানান তিনি।
এদিনের মশাল মিছিলে হাঁটেন মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, বিজেপি-র রাজ্য সাধারন সম্পাদক টিঙ্কু রায়, রাজ্য সাধারন সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, বিধায়িকা মিমি মজুমদার , যুব মোর্চার সভাপতি নবাদুল বনিক সহ অন্যান্যরা। এদিনের কর্মসূচীতে দলীয় কার্যকরতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়।