স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ মে : রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। বুধবার বাজারে ছিল কেনাকাটার ধুম। জামাই-এর মঙ্গল কামনায় এই ব্রত করা হয়। একটি ফুলের তোড়া বাঁধা হয়, যাকে ‘ষষ্ঠীর ডোর’ বলা হয়ে থাকে। বাঁশের খোল, করমচা, কমলা রঙের ফুল, আতপ চাল, দূর্বা, হলুদ সুতো দিয়ে বাঁধা হয়। সেটিকে ভিজিয়ে রাখা হয় গঙ্গা জলের পাত্রে। এটি দিয়ে মাথায় জল ছেটানোর নিয়ম রয়েছে। হলুদ মা ষষ্ঠীর প্রিয় রং, এই কারণে অনেকে হলুদ ছেটানো পাখাও ব্যবহার করেন।
আবার সব থেকে সাধারণ যে নিয়মটি চোখে পড়ে সেটি হল পাখায় জল ফেলে সেটিকে দিয়ে হাওয়া করা। জামাইয়ের হাতে ফলের ঝুড়ি এবং শাশুড়ি মা পাখা দিয়ে হাওয়া করছেন। এটিকে ষষ্ঠীর শান্তভাবের আখ্যা দেওয়া হয়। লৌকিক আচার বলছে, ষষ্ঠী সন্তান সন্ততির দেবী। আর মেয়ের শীঘ্র সন্তান কামনায় এই ষষ্ঠী পালন করা হয়। মা কিংবা শাশুড়ি মায়েদের নিয়ম মেনে উপবাস থাকতে হয়। সঙ্গে সন্তান এবং জামাই, মেয়েরও উপোষ থাকার নিয়ম রয়েছে। অনেক বাড়িতেই নিয়ম রয়েছে ষষ্ঠীর ব্রত কিংবা পুজো হয়ে গেলেও মায়েরা এদিন ফলাহার কিংবা দই চিড়ে খান। আবার জামাইদের-কেও দই চিড়ে খাওয়ানো হয়। বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী। তাকে কেন্দ্র করে বাজারে চলে এসেছে ষষ্ঠীর বানা সহ অন্যান্য জামাই ষষ্ঠীর সামগ্রী। আগরতলার বিভিন্ন বাজারে জামাই ষষ্ঠীর বাজার জমে উঠেছে। ব্যবসা ভালো চলছে বলে জানান বিক্রেতারা।