স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ মে : প্রাইভেট টিউশন নিয়ে এবার কঠোর হতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর। শাস্তির মুখে পড়বে বহু সরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা। সেসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে ঠিকুজি লিখতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা। বাম আমল থেকেই রাজ্যের জামাই আদরে রয়েছেন সরকারি শিক্ষক শিক্ষিকারা।
২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শিক্ষা দপ্তর থেকে নোটিফিকেশন জারি করে বলা হয়েছে যারা সরকারি শিক্ষক রয়েছেন তারা প্রাইভেট টিউশন এবং ব্যক্তিগত শিক্ষা দানে জড়িত থাকতে পারবেন না। কিন্তু তারপরেও দেখা গেছে বহু সরকারি শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশন করে চলেছেন। বেআইনিভাবে যেসব শিক্ষক শিক্ষিকারা টিউশন করে চলেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর। শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে বহু সরকারি শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনি করে চলেছেন। কিন্তু শিক্ষা দপ্তর থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্দেশিকা জারি করে সতর্ক করা হয়েছিল সেসব সরকারি শিক্ষকদের। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যারা এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত তাদের এই বিষয়ে, সমস্ত জেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলায় নিযুক্ত বিভিন্ন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করতে এবং এই অধিদপ্তরকে অবহিত করে প্রাইভেট টিউশনে জড়িত থাকা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য বাম আমল থেকেই চলে আসছে রাজ্যে প্রাইভেট টিউশনের প্রতিযোগিতা। সকাল সন্ধ্যা প্রাইভেট টিউশনি করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন। এতে করে যেসব স্কুলে তারা চাকরিরত থাকেন সেসব স্কুলে পড়াশোনা লাটে উঠে। সময়মতো স্কুলে যাওয়া আসা করেন না। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে লক্ষ্য করা যায় স্কুল গুলির মধ্যে সপ্তাহে দু-তিন দিনের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত থাকেন না। এই চিত্র রাজ্যের কতিপয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য। অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা কোনরকম ছুটিছাটা না নিয়েই স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। এখন দেখার বিষয় রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মার স্বাক্ষর মূলে বের হওয়া নির্দেশিকা কতটা কঠোর হয়।