স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ এপ্রিল : গত ১৯ এপ্রিল নতুন দিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকারের রেল তথা যোগাযোগ এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এরপর ত্রিপুরা রাজ্যের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও সমস্যা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে অবগত করেন পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
সেগুলোর সমাধানের জন্য তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় সাহায্য কামনা করেন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর তরফ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো খুবই ধৈর্য ও আন্তরিকতার সাথে শুনেন এবং দাবীগুলোর যৌক্তিকতার সাথে সহমত পোষণ করেন। দাবীগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আগরতলা আখাউড়া রেল পথ সম্পর্কে অবগত করতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন ভারতের প্রান্তের সাড়ে ১২ কিলোমিটার রাস্তা ইরকন সংস্থা নির্মাণ করছে। বাংলাদেশের প্রান্তের কাজ করছে অপর একটি সংস্থা। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর তা দুই দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী এই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫০ কোটি টাকা প্রদানের জন্য ডোনার মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সহসাই তা প্রদান করা হবে। যুদ্ধকালীন ভাবে কাজ চলছে বলে জানান তিনি। পেচারথল, ধর্মনগর, কৈলাশহর রেল লাইন নেই। এই রেল লিঙ্ক তৈরি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন। আবার নতুন করে বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গোচরে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন প্রস্তাব দ্রুত খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার। ১৮৫৫ কোটি টাকা এতে ব্যয় হবে।
সাব্রুমে নতুন রেল ষ্টেশনে রেল ইয়ার্ড গড়ার কাজ চলছে। লামডিং থেকে সাব্রুম পর্যন্ত ডাবল লাইন করার দাবি ছিল রাজ্য সরকারের। বিগত দিনে আন্দোলন আন্দোলন খেলা চলত। এভাবে মানুষকে অনেক ভাবে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের আমলে এই আন্দোলন করতে হয়নি। আগরতলা রেল ষ্টেশনকে আন্তর্জাতিক রেল ষ্টেশনে উন্নিত করার দাবী জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন ডিপি আর তৈরি করার জন্য ২৪ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে এসে এই প্রকল্পের শিলান্যাস করবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বিলোনিয়া থেকে ফেনী সীমান্ত পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রেল লাইন লাইন সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়েছে। নিশ্চিন্ত পুরের কাজ শেষ হলে বিলোনিয়ার কাজ শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী। আগরতলা, শেকেরকোর্ট, বিশালগড় এবং বিশ্রামগঞ্জে পণ্য নামানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই ক্ষেত্রেও সদর্থক ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।