স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ এপ্রিল : ২০১৮ সালে বিজেপি- আই পি এফ টি জোট সরকার আসার পর চেষ্টা চলছে জাতি- জনজাতি সবাই মিলে ত্রিপুরাকে মডেল হিসেবে তৈরি করার। ঐতিহ্যবাহী গড়িয়া পূজা ও জনজাতি সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খাদ্য উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাজধানীর কৃষ্ণনগরে ঠাকুর প্রভাত চন্দ্র রায় সরণি পার্কে তিন দিন ব্যাপী উৎসবের সুচনা হয়। মহারানী তুলসীবতী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর উদ্যোগে গড়িয়া পূজা উপলক্ষ্যে এই উৎসব।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নেওয়ার আগে অন্য কোন প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যায়নি জনজাতিদের জন্য এত চিন্তা ভাবনা করতে। তাঁর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলেন দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি। উনি একজন জনজাতি মহিলা। ত্রিপুরার পর পর তিনজন জনজাতিকে পদ্মশ্রী উপাধি দেওয়া হয়েছে। এবারো দুইজনকে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রমান করে জনজাতিদের জন্য সরকার কতটুকু যত্নবান। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন মৈত্রী সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেইট ওয়ে হিসেবে পরিচিতি ঘটাবে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা রাজ্যে বাঙালি এবং জনজাতিদের একটি নিবিড় মেলবন্ধন রয়েছে। যা মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার নজরে পড়েছে বর্ষ বিদায় এবং বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেও। বাঙালি এবং জনজাতির সকল অংশের মানুষ মিলেমিশে একাকার।
কখনো কখনো কুচক্রীরা ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার চাইছে সকল অংশের মানুষের এই নিবিড় মেলবন্ধনকে সঙ্গে নিয়েই ত্রিপুরাকে মডেল ত্রিপুরা হিসেবে গড়ে তোলার। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণেই আগরতলা থেকে সাব্রুম পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। এদিনকার এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক সহ আরো অনেকেই। বাবা গড়িয়ার পুজোর স্থানে ফুল দিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফুড ফেস্টিভ্যালের ও আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা ঘুরে দেখেন স্টল গুলো