স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ এপ্রিল : আবার রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলেও দিন দিন চোখ রাঙাচ্ছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ। গত ১৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৬৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করার পর ৬ জনের শরীরে সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম জেলায় তিনজন এবং ঊনকোটি জেলায় তিনজনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।
বাকি ছয়টি জেলায় নতুন করে সংক্রমণ সনাক্ত হয়নি বলে জানা যায়। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১০ জন। বর্তমানে সংক্রমনের হার ০.৯৪ শতাংশ। তবে স্বস্তির দিক হলো চতুর্থ ঢেউয়ে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় রয়েছে। কিন্তু করোনার প্রথম পর্ব থেকে গত চার বছরে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছে ১,০৮,০৪৪ জন। এ সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৩৭ জনের। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছে ৯৯.০৬ শতাংশ। ইতিমধ্যে আবার সংক্রমনের পরিসংখ্যান বাড়তে থাকায় জনমনে ফের একবার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঊনকোটি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সার্ভিলেন্স অফিসার ডাক্তার শঙ্খ শুভ্র দেবনাথ জানান ১৫ এপ্রিল ঊনকোটি জেলার পেঁচারথলের অধীন নবীন ছড়া এলাকার দুজন ব্যক্তি স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করার জন্য উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে যায়। সেখানে ঐ দুই ব্যক্তি সহ অপর এক ব্যাক্তির করোনা পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির ট্রাভেল হিস্ট্রি রয়েছে। করোনা আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অপরদিকে ১৭ এপ্রিল করোনা আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করার পর তিন জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাদেরকেও বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ডাক্তার শঙ্খ শুভ্র দেবনাথ জানান সমস্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। ডাক্তার শঙ্খ শুভ্র দেবনাথ সকলকে সচেতন থাকার পাশাপাশি কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে নিকটবর্তী হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। ফের রাজ্যে করোনা ভাইরাস চোখ রাঙাতে শুরু করায় সাধারন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর করোনা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে খবর। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চৈত্র মেলা হয়েছে। দুদিন আগে সম্পূর্ণ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। ঘরে এবং ঘরের বাইরে সর্বত্রই হয়েছে জমজমাট।