স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ এপ্রিল : পানীয় জলের সমস্যায় নাজেহাল সহজ-সরল গিরিবাসী অংশের গুচ্ছগ্ৰামবাসীরা। এই অভিযোগ জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী কেন্দ্রে। পানীয় জলের সমস্যা যেন বংশপরম্পরা অভিশাপের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। অভিযোগ, সময়মতো ডি.ডব্লিও.এস দপ্তর পাইপ লাইন কিংবা একমাত্র ভরসা গাড়ি করে এলাকায় সময় মতো জল প্রদান করে না।
যার সত্যতা মিলল সোমবার ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামে। জানা যায় ২০০৩ সালে জাতিগত দাঙ্গার শেষ লগ্নে তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন দূর-দুরান্ত প্রত্যন্ত এলাকা গুলি থেকে জনজাতি অংশের মানুষজনেরা সরকারি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি যেমন বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যাবস্থা, রাস্তাঘাটের ব্যাবস্থা, শিক্ষা ব্যাবস্থা, খাদ্য সামগ্রী ব্যাবস্থা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা হাতের নাগালে পাওয়ার জন্য চাকমাঘাট রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামে পূর্বপুরুষদের ভিটেমাটি ত্যাগ করে এসেছিল। তৎকালীন সময়ে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। সে সময় সরকারি ভাবে ভিটেমাটি ত্যাগ করে আসা পরিবার গুলির মধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মৌলিক অধিকার গুলি মধ্যে যে যে অধিকার গুলি রয়েছে সবগুলি হাতের নাগালে পাওয়া যাবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে তেলিয়ামুড়া মহকুমার নোনাছড়া, কাঁকড়াছড়া, হলুদিয়া সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এ.ডি.সি ভিলেজ গুলি থেকে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার পূর্ব পুরুষদের ভিটেমাটি ত্যাগ করে রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামে এসে স্বপরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। একদিকে যেমন কাজকর্মের অভাব ।
অন্যদিকে সংসার চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছিল। ইদানিং শুখা মরসুম শুরু হতেই ওই এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পানীয় জলের সংকট দূরীকরণে নির্বিকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এলাকাবাসীদের অভিমত, পানীয় জলের সঙ্কট দূরীকরণে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষজনদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তৎকালীন সময় ক্ষমতাসীন ছিল সিপিআইএম দল। কয়েক মাস পরেই সরকারি প্রতিশ্রুতি গুলি ওই এলাকার বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষদের স্বার্থে কার্যকারী না হওয়াতে অনেক মানুষজনেরা সরকারিভাবে গড়ে তোলা নতুন ভিটেমাটি ছেড়ে পুরানো ভিটেমাটি’তে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল।