স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ এপ্রিল : ছয় দিন পর নিখোঁজ দীপঙ্কর ঘোষের পচা গলা মৃতদেহ ভেসে উঠলো হাওড়া নদীর জলে। বুধবার সকালে রাজধানীর পূর্ব প্রতাপগড় এলাকায় মৃতদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মহারাজগঞ্জ ফাড়ির পুলিশ এবং পূর্ব থানার পুলিশ। পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিবারকে খবর দিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করায়। তারপর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জিবি হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ গত ৬ এপ্রিল কাশীপুর এলাকার কৃষ্ণ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি আর্থিক লেনদেনের জন্য বাড়ি থেকে রাত এগারোটার পর ডেকে নিয়ে যায় দীপঙ্কর ঘোষকে।
তারপর দীপঙ্কর ঘোষের মোবাইলে ফোন করা হলে সুইচ অফ পাওয়া যায়। পুলিশের কাছে কৃষ্ণ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তী সময় কৃষ্ণ ঘোষকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। পুলিশের গাফিলতির কারণে মৃতদেহ এতদিন পর উদ্ধার হয়েছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী এবং দীপঙ্কর ঘোষের ভাই বিপ্লব ঘোষের অভিযোগ তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না মহারাজগঞ্জ ফাড়ির পুলিশের। থানায় গেলে পুলিশের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করেনি পরিবারের লোকজনেরা। এদিকে পুলিশ জানায়, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্কুটি দিয়ে দীপঙ্কর ঘোষকে নিয়ে যাওয়ার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই ফুটেজটি পরিষ্কার না হওয়ার কারণে কৃষ্ণ ঘোষকে পুলিশ আটক করেনি। ময়না তদন্তে রিপোর্টে স্পষ্ট হবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্কর ঘোষের। মৃত ব্যক্তির বাড়ি প্রতাপগড় বাজার সংলগ্ন সুকান্ত পল্লী এলাকায়। পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ খুন করেছে দীপঙ্কর ঘোষকে। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে এলাকাবাসী।