Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যরাস্তায় বসে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন চাকুরি হারা শিক্ষকের পরিবার

রাস্তায় বসে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন চাকুরি হারা শিক্ষকের পরিবার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ এপ্রিল : চাকুরি হারিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। অন্যের ভাড়া অটো চালিয়ে অসহায় ভাবে গোটা পরিবারের মুখে অন্ন জুটাতে প্রতিদিন জীবন যুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন চাকরি-হারা শিক্ষক সঞ্জিত লোধ। বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের পূর্ব চানমারি এলাকার বাসিন্দা তিনি। কিন্তু শাসক দলের আক্রোশ মনোভাব যেন তাকে জীবন চলার পথে রাহু কেতুর দশা হয়ে দিশেহারা করে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার এবং নিরাপত্তার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাস্তায় বসতে বাধ্য হলেন চাকরি-হারা শিক্ষকের গোটা পরিবার।

 মঙ্গলবার রাতের বেলা শাসক দলের দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। অসহায় শিক্ষক এদিন বাড়ির সামনেই রাস্তার পাশে বসে সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে জানান ২ মার্চ ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তার বাড়িতে লাগাতার আক্রমণ সংগঠিত হয়ে চলেছে। কারো কোন ক্ষতি না করলেও একটাই অপরাধ তাঁর পরিবার সিপিআইএম সমর্থক! তাই এভাবে লাগাতার সন্ত্রাসে ব্যতিব্যস্ত গোটা পরিবার। চাকরি চলে যাওয়ার পর অন্যের ভাড়া অটো চালিয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা এবং পরিবারের শিশু কন্যাদের পড়াশোনার চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি হারা এই শিক্ষক। বাড়ির সামনে রয়েছে হাড় কাঁপা বৃদ্ধ পিতার চায়ের দোকান। ভোটের ফলাফলের পর থেকে লাগাতার সন্ত্রাস সংঘটিত হলেও কিন্তু মঙ্গলবার তার বৃদ্ধ বাবার দোকানে এবং বাড়ির বসত ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

পুলিশকে জানিয়েও সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছে না গোটা পরিবার। শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাস্তায় বসেছেন চাকুরির হারা শিক্ষক সঞ্জিতের পরিবার। তিনি জানান পরিবারে তার কন্যার পরীক্ষা চলছে। তার উপর দিয়ে আক্রমণ প্রতিনিয়ত করে চলেছে শাসক দলের দুর্বৃত্তরা। এবং সঞ্জিতের ছোট ভাইয়ের অটো গাড়িটি পর্যন্ত লাইন যুক্ত করে রেখেছে সেন্টিগ্রেডের মুখোশধারী রাষ্ট্রবাদী নেতারা। চাকরি হারা শিক্ষক আরো বলেন রাজভবন থেকে তার বাড়ি মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার দূরে। কিন্তু কোন নিরাপত্তা নেই। মুখ্যমন্ত্রী যদি বিষয়টি নজর দেন তাহলে তিনি পরিবার নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে। নাহলে এভাবে বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো বলে মনে করেন সঞ্জিৎ লোধ। এদিকে কেঁদে ফেললেন সঞ্জিতের বৃদ্ধ পিতা বাবুলাল লোধ। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে চোখে জল নিয়ে দু হাত জোড় করে পরিবারের প্রাণভিক্ষা চাইলেন তিনি। বলেন সুষ্ঠুভাবে বাঁচতে চায় গোটা পরিবারটি। এবং এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জয়েন্ট মুভমেন্ট ১০,৩২৩ -এর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দাও জানানো হয়েছে। দাবি জানানো হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি হারার শিক্ষকের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য