স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ এপ্রিল : মঙ্গলবার সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে বোতাম টিপে হাইওয়ে, সংস্কৃতি, হাসপাতাল, পর্যটন এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠান কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি ও মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার হাত ধরে শুভ উদ্বোধন হয়। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডিকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং পুষ্পস্তবক হাতে তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ত্রিপুরার কুটির শিল্প কারুকার্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হাতে তুলে দেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান যেসব বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যগুলিতে বাস্তবায়ন হয় সেগুলি নিয়ে এদিন পর্যালোচনা হয়েছে। কারণ ভারত সরকার ত্রিপুরাকে একটি বিকাশ রাজ্য বানাতে চাইছে। কারণ দীর্ঘ ৩০-৪০ বছর ত্রিপুরা বঞ্চিত হয়েছে। যে উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল সেটা হয়নি ত্রিপুরায়। কিন্তু আগামী দিনে মানিক সাহা নেতৃত্বে ত্রিপুরায় যাতে দ্রুত উন্নয়ন হয় সেদিকে নজর দেওয়া হবে। এবং কেন্দ্রীয় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা যাতে ত্রিপুরা রাজ্য সঠিকভাবে সময়মতো পেতে পারে তার জন্য প্রচেষ্টা করা হবে। এবং ত্রিপুরা মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে সেটা অবশ্যই পূরণ করবে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে তা আগামী নবরাত্রি আগেই সম্পূর্ণ করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পর্যটন বিকাশকে মাথায় রেখে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে নতুন রূপ দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। দ্রুত গতিতে চলছে কাজ। ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বহুবার আমন্ত্রণ জানানোর পর তিনি রাজ্য সফরে এসেছেন। মঙ্গলবার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের পর রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডির কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি এই দাবিগুলি দ্রুত পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরে কি কি সফলতা অর্জন হয়েছে সে বিষয়েও কথাবার্তা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক। সকলের অভিমত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উন্নয়ন কর্ম খতিয়ে দেখার পর কাজে গতি আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরা এক বিশেষ রাজ্যের স্থান দখল করবে।