স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ডিসেম্বর : বহু কষ্টের পর ত্রিপুরা স্বাধীন ভাবে চলার রাস্তা পেয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত সমস্ত ক্ষেত্রে ত্রিপুরাকে আটকানো হয়েছিল। জীবনমান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সরলতম ব্যবস্থার কথা বলা হয়। সরকারী কাজ গুলি সম্পর্কে নিজে অবগত হন। মুখ্যমন্ত্রী কি করছে। মন্ত্রী সভা কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাও জানতে হবে। কারন সমস্ত ক্ষেত্র নির্ভর করে প্রশাসন ও স্বচ্ছ ব্যবস্থার উপর।
ভবিষ্যৎ তৈরি করতে ব্যবস্থাতে কোন ব্যক্তি থাকবে আগে তা নির্ণয় করতে হবে। এই মানসিকতা থাকলে সঠিক ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা যাবে। অন্যথায় স্বপ্ন পূরণ অধরাই থাকবে। রাজ্যের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। এখন চাকুরীর মুখাপেক্ষী থাকেনা মানুষ। নিজেরাই স্ব নির্ভর হয়ে অন্যকে রোজগার দিচ্ছে। স্ব সহায়ক দলের মধ্যে মহিলাদের অংশ গ্রহণ বেড়েছে। শুক্রবার জাতীয় ডেনটিস্ট দিবস ও ২০ তম বার্ষিক ডেন্টাল কনফারেন্সের উদ্বোধন করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। প্রজ্ঞাভবনে দুই দিন ব্যাপী এই কনফারেন্সের সুচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে ডাক্তার, ইঞ্জীনিয়ার, আইনজীবী, প্রফেসারের ভুমিকা বেশি। কর্মক্ষেত্রের চালিকা শক্তি সফল হলেই প্রফেশনের মাধ্যমে কিছু করা সম্ভব। আগে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিতে ডাক্তার, ইঞ্জীনিয়ার জেতে চাইত না উগ্রপন্থী সমস্যার কারনে।
যে কারনে উন্নয়ন থমকে থাকত। সবাই ভাবত এটা ছিল শাস্তি মূলক বদলী। ১৯৮০ থেকে এই উগ্রপন্থী সমস্যার সঙ্গে মোকাবেলা করতে করতে ত্রিপুরা সরকার এখন ২০২১ -এ এসে পৌঁছেছে। এখন সর্বাঙ্গীণ বিকাশ ঘটছে। তাই প্রোফেসনালিস্টদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী আহবান জানান সমাজের মধ্যে তাদের যা প্রভাব রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে সমাজের সহভাগীদার হতে। অন্যথায় সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। সমাজে কে কাজ করবে তার নির্ণয় সঠিক ভাবে করার আহবান জানান তিনি। বিচার বুদ্ধি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাময়িক নয়, সুদূর প্রসারী বিষয় গুলির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাছে দায়বদ্ধ সরকার। তাই আড্ডা মেরে সময় নষ্ট করলে হবে না। সরকারের প্রকল্প গুলি সম্পর্কে নিজে অবগত হয়ে অন্যকে সচেতন করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে উচ্চ শিখরে পৌছুতে হবে। কিন্তু সরকার কে চালাবে তার নির্ণয় রাখতে হবে সমাজের মধ্যে প্রভাব সৃষ্টিকারীদের। নিজে এবং সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে অবশ্যই অবগত হতে হবে। পূর্ণ রাজ্য প্রাপ্তির অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হবে আগামী ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সরকার কি কি করতে চলেছে। রূপরেখা ত্রিপুরাবাসীর সামনে তুলে ধরবে সরকার। তা বিবেচনা করে নির্ণয় করবে রাজ্যবাসী। সেই দিশাতে সরকার কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এতে ত্রিপুরার মানুষের লাভ হবে বলে জানান তিনি। সুরক্ষিত ব্যক্তির হাতে সমাজের দায়িত্ব তুলে দিতে আহবান জানান।
আগের সরকার জটিলতা তৈরি করতে বেশি আগ্রহী ছিল। তাতে করে তাদের ব্যবসা চলত। কিন্তু বর্তমান সরকার সমস্যা সমাধান করে তার সরলীকরণে বেশি আগ্রহী। যার নিদর্শন স্বরূপ ১৬ বছর পর টি এম সি – তার নিজস্ব জমির মালিকানা পেয়েছে। এই ব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সমাজের প্রতিষ্ঠিতদের বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একটি সুভেনিয়ারের সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব জে কে সিনহা, রোগ প্রতিরোধ ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ রাধা দেববর্মা, সম্মেলন কমিটির চেয়ারপার্সন ডাঃ মানিক সাহা সহ অন্যান্যরা।