স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মার্চ : আইজিএম হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত সঙ্কট দূরীকরণে এগিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে আইজিএম হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকরা। রবিবার আইজিএম হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের উদ্যোগে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। কারণ গত তিন মাস ধরে লাগাতার রক্ত সংকট চলছে ব্লাড ব্যাংকে।
ভলান্টিয়ারি শিবির মাত্র ৫-৭ টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালে এসে থ্যালাসেমিয়া ও দুর্ঘটনাগ্রস্হ রোগীর পরিবার-পরিজনেরা শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে। যদি সাথে করে ডোনার নিয়ে আসে তাহলেই রক্ত পরীক্ষা করে বন্দোবস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রায় ১২০ জনের অধিক থ্যালাসেমিয়া রোগীর পরিবার হাসপাতালে এসে ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে কাতর আবেদন করছে। কিন্তু রক্তের বন্দোবস্ত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিবিরে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা আইজিএম হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাক্তার দিলীপ দাস। তিনি রক্তদাতাদের উৎসাহ প্রদান করেন। এক সাক্ষাৎকারে ডাক্তার দিলিপ দাস জানান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা একটা ভালো উদ্যোগ। নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য রক্তদান শিবিরে ব্যাঘাত ঘটেছে। ফলে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্ত সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আইজিএম হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকরা সামাজিক মাধ্যমে রক্ত সঙ্কটের কথা তুলে ধরে রক্তদানে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এইদিন ২২ জন রক্তদাতা রক্তদানের জন্য নাম নথি ভুক্ত করেছে। বিভিন্ন পেশার লোক এইদিন রক্তদানে এগিয়ে এসেছে। রক্তদানের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে, এইটা সমাজের জন্য মঙ্গল জনক। নির্বাচন শেষ বর্তমানে বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংগঠন গুলি রক্তদানে এগিয়ে আসলে রক্তের সঙ্কট দূর করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। রক্তের চরম সংকটের কারণে আইজিএম ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের রক্তদান শিবির করা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। স্যন্দন পত্রিকা এবং স্যন্দন টিভি -তে লাগাতার খবর প্রকাশের পর এদিন বহু রক্তদাতা শিবিরে এগিয়ে এসেছে। ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এ ধরনের উদ্যোগ এবং রক্তদাতাদের মহৎ কাজে প্রান বাঁচবে বহু শিশুর জীবন।