স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ মার্চ : ইন্ডীয়ান আর্মি সর্বদা জাগ্রত রয়েছে বলেই দেশ আজ সুরক্ষিত। ত্রিপুরাকে রক্ষা করার জন্য ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ইণ্ডিয়ান আর্মি বিশেষ ভূমিকা নেয়। দেশের অখন্ডতা রক্ষায় ইণ্ডিয়ান আর্মি দিনরাত কর্তব্য পালন করে চলেছেন। কেবল দেশের সুরক্ষার কাজেই নয়, সামাজিক কাজেও এগিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান আর্মি। তারই অঙ্গ হিসাবে শনিবার ইন্ডিয়ান আর্মির উদ্যোগে প্রাক্তন সৈনিক ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা করা হয়।
শালবাগান স্থিত মূল কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ত্রিপুরা রাজ্যে বসবাসরত ভেটেরান্স এবং বীর নারিদের কাছে পৌঁছানোর প্রয়াসের বন্ধনকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আগরতলা মিলিটারি স্টেশনে প্রাক্তন সেনা সদস্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এদিন এক রেলির আয়োজনও করা হয়। মূল উদ্দেশ্য হল ভেটেরান্স এবং বীর নারীদের প্রাসঙ্গিক অবসর গ্রহণের পরে উপকারী তথ্য সরবরাহ করে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্পের তথ্য প্রচার, অভিযোগের প্রতিকার এবং বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে অসঙ্গতিগুলি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা প্রদান করা।
এতে সহায়তা করে রেজিমেন্টাল রেকর্ড অফিস, প্রিন্সিপাল কন্ট্রোলার অফ ডিফেন্স অ্যাকাউন্টস , রাজ্য সরকারী সংস্থা এবং ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে ছিলেন ইন্ডিয়ান আর্মির ব্রীগেডিয়ার নিলেশ চৌধুরী, মনিপুর থেকে আগত ব্রীগেডিয়ার নীল জন সহ অন্যান্যরা। সেনা বাহিনিকে কিভাবে জনগণের সঙ্গে আবদ্ধ করা যায় তারই প্রতিফলন এই কর্মসূচীর মাধ্যমে উঠে এসেছে। কেবল যুদ্ধ জয় নয়। দুর্যোগের সময়ে কিভাবে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় সেই ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইন্ডিয়ান আর্মি বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। প্রাক্তন সৈনিকদের চিকিৎসার জন্য জিবি এবং ক্যান্সার হাসপাতালে ক্যাশলেস ব্যবস্থার এদিন সূচনা করা হয়।