স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ মার্চ : নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসে গরিমা হারালো ত্রিপুরা। জিরো পুল ভায়োলেন্স নিয়ে নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণার আগে থেকেই সংকল্পবদ্ধ থাকার পরেও রাজ্যের প্রশাসনিক দুর্বলতায় চরম সন্ত্রাসের নজির গড়েছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে অগ্নিসংযোগ এক প্রকার ভাবে ট্র্যাডিশন হয়ে গেছে। প্রতি রাতে মানুষের বাড়ি ঘর ও দোকান পাট ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর উঠে আসতেই রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের দরজা পর্যন্ত কড়া নেড়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস
। এদিকে রাজ্যের সন্ত্রাস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পর্যন্ত বামফ্রন্ট আন্দোলন গড়ে তুলেছে। শুক্রবার এ রাজ্যের সন্ত্রাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাম ও কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধি দল এসেছে। বিমানবন্দর থেকে আটজনের প্রতিনিধি দল এদিন প্রথমে রাজ্য অতিথিশালায় যান। সেখানে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বেদের কাছ থেকে ত্রিপুরার আট শতাধিক সন্ত্রাসের ঘটনার সম্পর্কে অবগত হন। বৈঠকের সংসদীয় প্রতিনিধি দল ছাড়া ছিলেন পুলেটব্যরোর সদস্য মানিক সরকার, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থী গোপাল রায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা। রাজ্য অতিথি শালা থেকে তিনটি টিম পৃথকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গুলি পরিদর্শনে যান। বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাবাড়ি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেন সংসদীয় প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন আর নটরাজন, বিনয় ভূশম। সঙ্গে ছিলেন পুলেটব্যরোর সদস্য মানিক সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক পবিত্র কর সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তারা এদিন প্রথমে বামুটিয়ার গান্ধীগ্রাম স্হিত যতীন্দ্র রায়ের বাড়িতে যান। বাড়িতে ধ্বংসলীলা দেখে চোখ চড়কগাছ হয়ে উঠে প্রতিনিধি দলের। কথা বলেন পরিবারের লোকজনদের সাথে। পরিবারের লোকজনদের নাম ঠিকানা সমস্ত কিছু নথিভুক্ত করেন। এবং এগুলি দেখে প্রতিনিধি দল জানান তারা এই সন্ত্রাসের ঘটনা পার্লামেন্টে তুলে ধরবে। এবং বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে। কারণ এ ধরনের প্রতিহিংসা মূলক রাজনীতির তারা কখনো দেখে নি বলে তীব্র নিন্দা জানান। তারপর তারা চলে যান গান্ধীগ্রাম শর্মা পাড়া এলাকায় লক্ষণ সাহার বাড়িতে। লক্ষণ সাহার বাড়িতে গিয়েও পরিবারের অসহায়ত্বের চিত্র দেখতে পায় তারা। সঙ্গে থাকা পুলেটব্যরোর সদস্য মানিক সরকার এবং এলাকার বিজয়ী প্রার্থী নয়ন সরকার পুরো ঘটনা বিস্তারিত জানান। প্রতিনিধি দলটি দুদিন সফরে এসে এই ঘটনাগুলি প্রত্যক্ষ করে সমস্ত তথ্য পার্লামেন্টে তুলে ধরবে বলে জানা যায়। রাজনৈতিকভাবে এটা এক প্রকার ভাবে নতুন অভিজ্ঞতা বলে মনে করছে তারা।