আগরতলা, ৯ মার্চ (হি.স.) : গ্রেটার তিপরাল্যান্ড নিয়ে তিপরা মথার সাথে কোনও আলোচনাই হয়নি। তবে, জনজাতি কল্যাণ আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। আজ সরকারি বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, জনজাতিদের উন্নয়ন সহ সমস্ত অংশের জনগণের সার্বিক বিকাশে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে। সাথে তিনি ত্রিপুরায় অশান্তি প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল ত্রিপুরা মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তিপরা মথার সাথে আলোচনা করেছেন। ওই আলোচনায় জনজাতি সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় জনজাতিদের সমস্যা নিরসনে ও জনজাতিদের সার্বিক বিকাশে আরও বেশি করে কীভাবে কাজ করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়েও দ্বিতীয় বিজেপি-আইপিএফটি সরকার কাজ করবে। সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, ক্রীড়া ক্ষেত্রের বিকাশেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সুরে বলেন, ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন স্থানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ত্রিপুরা সরকার কঠোর হাতে এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে। আইনের শাসন বজায় রাখতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর। তাঁর দাবি, অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডা. মানিক বলেন, দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরার মানুষ বর্তমান সরকারের উপর আস্থা রেখেছেন। মানুষের এই আস্থাকে সম্মান জানিয়ে ত্রিপুরার অন্তিম জনগণের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়া সরকারের মূল দায়িত্ব। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিশা-নির্দেশনাকে পাথেয় করেই বর্তমান ত্রিপুরা সরকার কাজ করবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধায়ক বিনয়ভূষণ দাসকে প্রোটেম স্পিকার নিযুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া আসন্ন বিধানসভার অধিবেশনে ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট পেশ করা নিয়েও আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ত্রিপুরায় দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি ত্রিপুরাবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় দৃষ্টান্তমূলক, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন করার জন্য তিনি নির্বাচনের সাথে যুক্ত আরক্ষাকর্মী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক, কর্মী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সাথে তিনি যোগ করেন, খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দফতর বণ্টন করা হবে। এছাড়া, মন্ত্রিসভায় তিনটি খালি আসন যথারীতি পূরণ করা হবে।