স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ মার্চ : বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রতি রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা যেন ট্রেডিশন হয়ে গেছে। কোথাও জ্বলছে বাড়িঘর, কোথাও জ্বলছে দলীয় কার্যালয়, আবার কোথাও জ্বলছে দোকানপাট।
২ মার্চ ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মানুষই ঘুম এক প্রকার ভাবে কেড়ে নিয়েছে কিছু রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসীরা। মানুষ এর প্রতিবাদ পর্যন্ত জানাতে পারছে না। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কতটা সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে সে বিষয় নিয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনরকম তথ্যই মিলছে না। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অসহায় এবং আতঙ্কিত মানুষকে আশ্বস্ত করলেও পরবর্তী সময় কাউকে এই ঘটনা গুলি জন্য আটক করতে দেখা যাচ্ছে না। লাগামহীনভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে মানুষ আতঙ্কে ভুগছে। পুলিশ প্রশাসন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি দাবি করছে নিয়মিত চলছে পুলিশের টহলদারি কিন্তু টহলদারি কতটা সঠিকভাবে করে চলেছে সেটা আপামর জনগণের ভালো বলতে পারে। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার রাতের মতো রবিবার রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে রাজ্যের দিকে দিকে। মূলত এদিন রাতের বেলা আগরতলা শহরের বুকে রাজনগর এলাকায় সরকারি ১২১ নং ন্যায্য মূল্যের দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এলাকাবাসী কাছ থেকে খবর পেয়ে রাত ১১.১৫ মিনিটের নাগাদ বাড়ি থেকে ছুটে আসেন ন্যায্য মূল্যের দোকানের ডিলার রেনু মিঞা।
তিনি এসে দেখতে পান অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাচ্ছে তাই আয়ের সম্বল। কোন সামগ্রী বের করে আনতে পারেনি। এদিকে খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা এবং সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিককের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও এই ঘটনায় মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে ন্যায্য মূল্যের দোকানের ডিলার রেনু মিঞার। তিনি জানান তার ন্যায্যমূল্য দোকানে আট শতাধিক কার্ড হোল্ডার রয়েছে। এদিনের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আড়াই থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো জানান এই ঘটনার পর ন্যায্য মূল্যের দোকানের পাশে একটি পেট্রোলের বোতল পাওয়া গেছে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। অপরদিকে রাতের বেলা প্রায় ১২ টা নাগাদ রানীবাজার মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে খবর পেয়ে ছুটে যায় অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের পাঁচটি ইঞ্জিন। পুড়ে যায় বহু দোকান। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষাধিক টাকার অধিক হতে পারে বলে ধারণা এলাকাবাসী। এ ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা আর কত রাত ধরে রাজ্যবাসী চোখের ঘুম কেড়ে নেবে সেটা এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনমনে।