স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ মার্চ : ভাঙচুর বিজেপির বুথ অফিস, নিক্ষেপ বোমা। প্রতিবাদে ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের ইন্দ্রনগর এলাকায় পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এলাকায় মোতায়েন আধা সামরিক বাহিনী। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সারারাজ্যে রাজনৈতিক হিংসাত্মক ঘটনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রশাসন ঠুঁটো জগন্নাথ।
কিন্তু শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা ব্যক্ত করে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। পুলিশ সুপার শংকর দেবনাথকে কঠোর হস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পর শোনসান হয়ে যায় পথঘাট। রাত ৯ টা বাজার সাথে সাথে প্রধান সড়ক শ্মশানপুরীতে পরিণত হয়। কিন্তু অলিগলিতে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের উল্লাস এবং বাজি পুড়াতে দেখা গেছে এদিন। এর মধ্যেই শহরের ৬ আগরতলা বিধানসভার কেন্দ্রের ইন্দ্রনগর এলাকায় দেখা গেল রাজনৈতিক হিংসা মূলক ঘটনা। ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয় শাসক দলের বুথ অফিস। শনিবার সকালে নজরে আসে দলীয় কর্মীদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
বিজেপি কর্মীরা এসে ইন্দ্রনগরের মূল সড়ক অবরোধ করে দাঁড়ায়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ তারা রাতের বেলা বিকট বোমার শব্দ শুনতে পেয়েছে। সকালবেলা এলাকার বুথ অফিসে এসে দেখে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এবং বোমা ফোটার পর যে সামগ্রী গুলি ছিল সেগুলি উদ্ধার করেছে। এই ঘটনার পেছনে জড়িত কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের দুর্বৃত্তরা। এলাকার কয়েকজন দুর্বৃত্তের নাম উল্লেখ করে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিরোধী কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং তিপরা মাথা তাদের পরাজয় স্বীকার করতে না পেরে এ ঘটনাগুলি সংঘটিত করছে। ডাঙ্গা সৃষ্টি করতে চাইছে তারা। কিন্তু তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে। এখন তারা সন্ত্রাসের উপর ভর করে মানুষের শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেন বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ বলে উঠে পুলিশ বিরোধীদের দালালি করছে। এলাকার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন টাকা দিয়ে এ ধরনের ঘটনা সৃষ্টি করছেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় বিজেপি কর্মীদের বুঝিয়ে পথ অবরোধ প্রত্যাহার করায় পুলিশ। বর্তমানে এলাকায় টানটান পরিস্থিতি।