Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যনির্বাচন কমিশনে নালিশ জিতেন ও সুদীপের

নির্বাচন কমিশনে নালিশ জিতেন ও সুদীপের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ফেব্রুয়ারি : আগামী ২ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের গণনা কেন্দ্র এবং তার চার পাশে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য নির্বাচন কমিশনে গেলেন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্তের সঙ্গে দেখা করেন বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ কর, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন এবং আশীষ সাহা।

 তারা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আকিকারী কিরণ গিত্তের সঙ্গে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা করেন। নির্বাচন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক থেকে অবগত করেন তারা। পরে বেরিয়ে আসার পর সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান মহারাজা বীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একজন আরএসএস সমর্থিত। তিনি নির্বাচনের আগে জনগণের ট্যাক্স এর টাকায় ওপেনিয়ন পুল করানোর ফন্দি এটেছিলেন কিন্তু বাম কংগ্রেস নেতৃত্ব বিষয়টি তুলে ধরেছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরন গিত্তের সামনে। পরবর্তী সময়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশে তা বন্ধ করা হয়েছিল। সোমবার দুপুরে আরও একবার নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি লংঘন করে মহারাজা বীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক এক্সিট পোল প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখানো হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৪৯ টি আসনে জয়লাভ করতে চলেছে।

 এই বিষয়টি নিয়ে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরন গিত্যের কাছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এই বিষয়ে শোকজ নোটিশ জারি করা হবে। এদিকে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন জানিয়েছেন ফলাফল ঘোষণার দিনে গণনা কেন্দ্রের চারপাশে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিনিধিরা প্ররোচনামূলক কার্যকলাপ করতে পারে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির এ ধরনের কার্যকলাপ হতে পারে বলে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর কাছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে গণনা কেন্দ্র এবং তার চার পাশে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন, বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি অনুযায়ী সন্ধ্যা সাতটার আগে এক্সিট পোল প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মহারাজা বীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক কেন প্রকাশ্য দুপুরে এক্সিট পোল প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধির তাদের কাছে কি কোন ধরনের মূল্য নেই। নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধিকে কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে শাসক দলকে খুশি করার জন্যই কি তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ? নাকি এর পেছনে রয়েছে কোন দেনা পাওনার রহস্য? রাজ্য নির্বাচন দপ্তর কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবারে এটাই দেখার।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য