স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ ফেব্রুয়ারি : থানায় থানায় চলছে সর্বদলীয় বৈঠক। কিন্তু বৈঠকে উত্তেজিত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। হাড্ডি ভাঙ্গার হুশিয়ারি দিচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার লক্ষ্য করা যায় আমতলী থানায় সর্বদলীয় বৈঠকের। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসায় বেতিব্যস্ত সাধারণ মানুষ। গোটা ত্রিপুরায় ভোটের পর থেকে বাড়ি ঘরে হামলা, খুন, অগ্নিসংযোগ করে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রিত দুর্বৃত্তরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমতলী থানার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজদীপ দেবের পৌরহিত্যে হয় বৈঠক। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান বৈঠকে সবকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সকলকে বলা হয়েছে আগামী দুই মার্চের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর যাতে নিজ নিজ এলাকায় পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার ব্যবস্থা নেয়। নেতৃত্বদের বলা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে যাতে লক্ষ্য রাখা হয় তাদের কর্মীরা কি পোস্ট করছে। যাতে কোন রকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় এবং পোস্ট ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত না হয়। পুলিশের কাছ থেকে এই বক্তব্য শুনতে পেয়ে উপস্থিত নেতৃত্ব আশ্বস্ত করেছেন কোন ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হবে না এবং বিশেষ করে উস্কানিমূলক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে করা হবে না। কিন্তু তারপরও যদি কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হয় তাহলে প্রশাসনিক পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার। এদিন বৈঠকে কর্মীরা জানান তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে আগামী দুই মার্চ ফলাফল ঘোষণার পর তাদের দেখে নেওয়া হবে।
আমতলী এস ডি পি ও কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন হাড্ডির ভাঙ্গার। কিন্তু বৈঠকে দুই দলের বাকযুদ্ধে একটা সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেয়ার থেকে উঠতে হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ বৈঠকে উপস্থিত আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিদের। এখন দেখার বিষয় পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হয় পুলিশ প্রশাসন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাধারঘাট এবং সূর্যমনি নগর বিধানসভা কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থীরা।