স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ ফেব্রুয়ারি : ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে রাজ্যে। পরস্পরকে দুষছে বিজেপি ও বামফ্রন্ট কংগ্রেস জোট। গোটা ত্রিপুরায় ভোটের পর থেকে শারীরিক আক্রমণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘরে আক্রমণ, পরিবার প্রতিপালনের উৎসকে বিনষ্ট করে দেওয়া, মিথ্যা মামলা রুজু করে বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন করার চেষ্টা চলছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সমস্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়।
আর এ নির্দেশ পেয়ে রাজ্য নির্বাচন বাবু পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা এবং রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জনকে ঘর থেকে বের হয়ে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। সে মোতাবেক তারা ছুটছেন রাজ্যের এপার ওপার। বৈঠক করছেন জেলা পুলিশ সুপার, জেলা শাসক থেকে শুরু করে অন্যান্য আধিকারিকদের সাথে। এদিকে রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক ঘর থেকে বের হওয়ার আগেই মহকুমা পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে পরিস্থিতি নিয়ে কোনরকম গাফিলতি না করা হয়। চেয়ার ছেড়ে ময়দানে নামার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এবং আগামী দুই মাসের আগে সবকটি রাজনৈতিক দলে নেতাদের সাথে কথা বলে যাতে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ করা হয় সে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আর সেই নির্দেশ পেয়ে গত দুদিনে দেখা গেছে সদর মহাকুমার আটটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব দেন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন শীত ঘুম ভাঙ্গা আরক্ষা প্রশাসন। বুধবার পশ্চিম মহিলা থানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করলেন সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার দাস। আগামী ২ মার্চ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। গননা পর্ব এবং তার পরবর্তীতে পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা করেন সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রার্থী এবং তাদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বেশ কিছু মতামত গ্রহণ করা হয়।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আরক্ষা প্রশাসনের পাশাপাশি ভূমিকা রয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলির প্রার্থী ও নেতৃত্বদের। তাদের কর্মীদের সংযত রাখতে এই ক্ষেত্রে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশের নজরে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া গননার দিন গননা কেন্দ্রের বাইরে কি ধরনের নিয়ম লাগু করা হয়েছে সেই সম্পর্ক বিস্তারিত ভাবে অবগত করা হয় রাজনৈতিক দল গুলিকে। কোন ধরনের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। আরক্ষা প্রশাসন কড়া হাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান সদর এস ডি পি ও। যে কোন মূল্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখা হবে বলেও জানান তিনি। রাজনৈতিক দল গুলির প্রতিনিধিরা এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাই ভোল্টেজ নেতারা উপস্থিত না থাকলেও ছিলেন বিজেপির প্রার্থী ডাঃ দিলীপ দাস, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পূজন বিশ্বাস, লক্ষ্মী নাগ সহ অন্যান্যরা।