স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ ফেব্রুয়ারি : বিলোনিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে উঠে রবিবার। এদিন দুপুরে আচমকা বিভিন্ন জায়গায় দুর্বৃত্তদের আক্রমণ চালিয়ে চারজনকে গুরুতর আহত করে। আহতদের বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বিলোনিয়া থেকে জিবিতে স্থানান্তরিত করা হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় সাতমুড়া এলাকার বাসিন্দা এবং বিজেপি সক্রিয় কর্মী দেবজিৎ দাস রবিবার সকালে তার বাবাকে রেল স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়, কিন্তু ফেরার সময় একটি দোকানে চা খেতে গেলে আচমকায় বেশ কিছু যুবক তার উপর হামলা চালায়। সেখানেই গুরুতর আহত হয় দেবজিত। তাকে বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এই ঘটনার পরে বিলোনিয়া এগ্রি অফিস সংলগ্ন এলাকায় গোপাল ভৌমিক নামে আরও এক বিজেপি কর্মী রাস্তা দিয়ে আসার পথে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। তিনিও গুরুতর অভাবে আহত হন। এছাড়া একই দিনে বিক্ষিপ্ত ভাবে আরো দুটি ঘটনায় আরো দুজন বিজেপি কর্মী আহত হয়। এর মধ্যে একজন পূর্ব সাড়াসীমা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। চারজনকে বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাদের মধ্যে আকাশ দাস এবং গোপাল ভৌমিকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার একাধিক সাংবাদিক বিলোনিয়া হাসপাতালে যাওয়ার পর বেশ কিছু সমাজ দ্রোহী তাদের উপর ও হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ হয়। এর মধ্যে দুজনকেই ধাক্কা দেওয়া হয়। দুজনের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়।
সাংবাদিকদের উপর এই ধরনের ঘটনা দেখে সেখানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এগিয়ে এসে তাদের হাত থেকে রক্ষা করে। এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীরা এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ঘটনার পরে প্রতিবাদে এদিন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা বিলোনিয়া থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবি জানায়। বিলোনিয়া হাসপাতালে আহতদের নিয়ে আসার পর বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকরা পোছায়। ঘটনায় হাসপাতাল চত্বর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ছুটে আসে। এদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিলোনিয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিলোনিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যেসব জায়গায় ঘটনা হচ্ছে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।