স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ জানুয়ারি : মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বিজেপির সদস্য পদ এবং বিধায়ক থেকে পদত্যাগ করলেন প্রত্যাশী বিধায়ক ডাঃ অতুল দেববর্মা। অবশেষে নির্দলের প্রার্থী হয়ে নিজের দুঃখ প্রকাশ করলেন তিনি। দলের দাম্ভিক সভাপতি এবং বিধানসভার অধ্যক্ষকের ভূমিকা নিয়ে এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অতুল দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে তিনি রাষ্ট্রবাদী সংঘের সাথে জড়িত ছিলেন। কখনো টিকিটের কথা বলেন নি দলকে।
কিন্তু তাকে মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যাকমেল করা হয়েছিল। এবার প্রার্থী না করায় তাঁর সমর্থিত প্রায় ৩৮ হাজার জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সমর্থিত ভোটারদের দাবি ছিল আসন্ন নির্বাচনে তাকেই প্রার্থী করে এলাকায় বিজেপির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিতে। সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় সমর্থিত কর্মীদের চাপে পড়ে এবং তাদের আবেগের কথা শুনে তিনি নির্দলের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির দলের সদস্য পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেওয়ার। সে মোতাবেক সকালবেলা অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী এবং প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যীকে ফোন করার পরে তারা ফোন ধরেননি। কিন্তু তাদের ফোন নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে দল এবং বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। নির্দলের হয়ে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সহ গরিব অংশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান বলে জানান তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের উদ্দেশ্য করে প্রকাশ করে বলেন দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে দিল্লিতে তার পরিবার ছেড়ে তিনি ত্রিপুরা রাজ্যে রয়েছেন। চাকরি ছেড়েছেন। আজ দলের ভূমিকা হতাশ তিনি। সুতরাং ভোটের মুখেও পদ্ম শিবিরের একটা বড় অংশের কার্যকর্তা কতটা হতাশায় ভুগছে এবং দল ছেড়ে বের হয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে সেটা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেছে সোমবার।