স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ জানুয়ারি : তিন মাসে চারবার আগুনে পুড়ল সি পি আই এম কর্মীর দোকান। বিশালগড় নদী লাকের বাসিন্দা সিপিএম কর্মী নাসির মিয়া। সংসারে অভাবের তাড়নায় ছোট ছেলেকে দোকানে বসিয়ে আগরতলা শহরে রিক্সা চালান তিনি।
পারিশ্রমিকের উপার্জন দিয়ে দোকানটি ধীরে ধীরে সাজিয়েছেন তিনি। তিনবার দোকানটিতে লুটপাট করে আগুন দিয়ে ভষ্মিভূত করার পর একই ধারা অব্যাহত রেখেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে দোকানের সামগ্রী লুটের পর অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি বুধবার সকালে প্রকাশ্যে আসে। দোকানের অবস্থা দেখে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থা হয় নাসিরের। তার চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশপাশের লোকজন। তারাও বিষয়টি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। খবর পাঠানো হয় বিশালগড় থানায়। পুলিশ ছুটে এসে বিগত তিনবারের মত তদন্ত করে যায়। কিন্তু একবারের জন্যও কোন সুবিচার পায়নি নাসির মিয়া। ফলে ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে নাসির মিয়া থানায় নাম ধাম দিয়ে মামলা করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নাসির মিয়ার অভিযোগ দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকার বিজেপি গুন্ডাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত মামলা করা হয়। পুনরায় তারাই অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে পুলিশকে এবার শেষ সময় বেঁধে দিয়েছেন নাসির মিয়া। সঠিক বিচার না পেলে আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে জানান তিনি। এখন দেখার বিষয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এদিকে ঋষ্যমুখ বিধানসভার কেন্দ্রের মতাই এলাকায় দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত হলো সুভাষ চক্রবর্তী। বর্তমানে মতাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন সে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুটে যায় পুলিশ। মতাই বুড়া কালিবাড়ি আক্রান্ত পুরোহিত সুভাষ চক্রবর্তীর কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা যায় এই সুভাষ চক্রবর্তী আট বছর ধরে মতাই বুড়া কালিবাড়িতে পূজা করে আসছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালি পূজা দিয়ে ফেরার সময় তাকে মারধর করে সংজ্ঞাহীন করে সিপিআইএম আশ্রিত দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয় মন্ডল সহ-সভাপতি বাদল ভৌমিক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।