Sunday, January 19, 2025
বাড়িরাজ্যউন্নয়নের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে জনজাতিদের দরজায় দরজায় বামেরা, আর্জি বিজেপি পরাজিত করার...

উন্নয়নের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে জনজাতিদের দরজায় দরজায় বামেরা, আর্জি বিজেপি পরাজিত করার জন্য

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জানুয়ারি : নির্বাচনী এগিয়ে আসতে পাহাড় নিয়ে মাথা ব্যাথা জাতীয় দল থেকে শুরু করে আঞ্চলিক দলগুলির। রাজনৈতিক পরিভাষায় পাহাড় যার সরকার তার। আর সেই স্বপ্ন দেখতে নির্বাচনের ছয় মাস আগে থেকেই সবকটি রাজনৈতিক দল জনজাতিদের আবেগ নিয়ে ময়দানে ঝাপিয়েছে। কিন্তু কোন কায়দা করতে না পেরে জোট নিয়ে মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে গত এক মাস ধরে সবকটি রাজনৈতিক দলের।

গত ১৮ জানুয়ারি নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর জনজাতি দরদে আরও বেশি ঘেমে গেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু পাহাড়ের ত্রিশ শতাংশ ভোট কিভাবে নিজেদের আওতায় আনবে তার জন্য জোট প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য থেকে শুরু করে দিল্লি পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস বৈঠক করে চলেছেন বহু নেতৃত্ব। কিন্তু পাহাড়ের পাল্লা ভারী দলকে নিজেদের বসে আনতে পারছে না কিছু জনজাতির দরদী জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা। পাল্লা ভারী দল যদি সেই জাতীয় দলের সাথে থাকে তাহলে হয়তো কুড়িটি আসনে মধ্যে বড় জয় পাবে তারা। এমনটাই মনে করে বহু নেতৃত্ব চাইছেন জোট হতে। কিন্তু পাল্লা ভারী থাকা সেই দলের দাবি গ্রেটার তিপরাল্যান্ড নিয়ে যদি লিখিত কোন প্রতিশ্রুতি না দেওয়া হয় তাহলে তারা জোটে আসবে না। আবার সেই বড় বড় রাজনৈতিক দলের বড় মাপের নেতাদের জনজাতিদের জন্য প্রতিশ্রুতি সরাসরি এ ডি সি -কে সরাসরি অর্থ বরাদ্দ করা সহ জন জাতিদের উন্নয়ন। কিন্তু ভাবিয়ে তুলছে জনজাতিদের এই দরদ নিয়ে। কারণ দীর্ঘ ২৫ বছর ক্ষমতায় ছিল বামেরা, এর আগে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস, ২০১৮ সাল থেকে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার এবং দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় ধরে পাহাড়ে রয়েছে তিপ্রা মথা।

কিন্তু জনজাতিদের যে কতটা অসহায় অবস্থা সেটা এখন নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যক্ষ করছেন। তার উপর দিয়ে আবার আশ্বস্ত করছেন বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে সরকারি ঘর, শৌচালয়, রেশন কার্ড এবং জব কার্ড অনেক কিছুই দেওয়া হবে। আর এর জন্য গরীব মানুষ চাইলে প্রতিশ্রুতি লিখিতভাবে নিতে পারে। আজ এমন ধরনের চিত্র দেখা গেল সোমবার গন্ডাছড়া মহকুমাতে। এদিন ৪৪ রাইমাভ্যালী সি পি আই এম নেতা চারু বিকাচ চাকমা, সিপিআইএম এর অন্যতম সদস্য সন্তোষ চাকমা, মহকুমার সম্পাদক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কালাজয় পাড়া সহ অন্যান্য এলাকায় গিয়ে এ ধরনের প্রতিশ্রুতি জনজাতি অংশের মানুষকে দিয়ে চলেছেন। দাবি করছেন বিজেপির অশুভ জোট পরাজিত করতে। এক প্রকার ভাবে আবেগে কেঁদে ভাসাতে দেখা যায়। সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে জনজাতি অংশের মানুষ কতটা সুবিধা পায় সেটা তারাই ভালো বলতে পারে। আগামী দু দিনের মধ্যে পাহাড়ে রাজনীতি আরো বেশি প্রকাশ্যে উঠে আসবে বলে মনে করছে রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য