স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জানুয়ারি : প্রতিহিংসা মূলক বিজেপি’র নির্বাচনী বুথ অফিস আগুন দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ইন্দ্রনগর এলাকায় রাস্তা অবরোধ করলো বিজেপির কার্যকর্তারা। ঘটনা ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৮ নং বুথ অফিসে। সোমবার সকালে এলাকার বিজেপি কর্মীদের বিষয়টি নজরে আসার পর তারা বাইক স্কুটি দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় থানার পুলিশ।
দীর্ঘক্ষন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে মোতায়েন করা হয় আধা সামরিক বাহিনী। এ বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য জানান, দুর্বৃত্তরা রাতে অন্ধকারে এই দলীয় অফিসটি পুড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হবে। এবং তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন নির্বাচন কমিশন এর দায়ভার এড়াতে পারে না। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের কাছে সমস্ত দায়িত্ব রয়েছে তাই সুষ্ঠ তদন্ত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে এলাকার বিজেপির কর্মীরা সরাসরি জিবি এলাকার কংগ্রেস নেতা শ্যামল পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
তাদের অভিযোগ ইন্দ্রনগর এলাকায় রবিবার রাতের বেলা শ্যামল পাল নিজ ফ্ল্যাটে বহিরাগত কিছু মানুষ এনে মদ্যপান করে অসামাজিক কাজ করায়। তারপরই রাতের বেলা এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ। আরো অভিযোগ বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস জোট হওয়ার পরে মানুষ থেকে আরও বেশি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যার কারণে এই ঘটনা সংগঠিত করছে বলে বিরোধীদের দিকে আঙ্গুল তুললেন বিজেপির কার্যকর্তারা। তবে নির্বাচন কমিশন আসন্ন ভোটকে যতটাই সন্ত্রাসমুক্ত করার চেষ্টা করুক না কেন আরক্ষা প্রশাসনের চরম গাফিলতির কারণে পরিস্থিতি কিন্তু ঠিক অন্য পথেই চলছে। আগরতলা শহরের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হলো ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্র। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশককে নির্দেশ রয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য। এর জন্য নিরাপত্তা কর্মী পর্যাপ্ত পরিমাণে পাঠানো হয়েছে ত্রিপুরায়। সঠিকভাবে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করতে তিন জনের পর্যবেক্ষক টিমও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সন্ত্রাস যেন পিছু ছাড়ছে না। সুতরাং প্রশ্ন হচ্ছে কাল গাফিলতিতে এ ধরনের সন্ত্রাস জারি রয়েছে রাজ্যে ?