Thursday, March 28, 2024
বাড়িরাজ্যনির্বাচন ঘোষণা হতেই দুই বাড়িতে নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনার অভিযোগ

নির্বাচন ঘোষণা হতেই দুই বাড়িতে নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনার অভিযোগ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জানুয়ারি : নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার রাতেই নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের অভিযোগ সি পি আই এম কর্মীর বাড়িতে। এর পাশাপাশি আরো এক নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনার অভিযোগ উঠে এসেছে বিশালগড় মহকুমা জাঙ্গালিয়া এলাকা থেকে। কিন্তু এই ঘটনার পর তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় গোটা মহকুমায়। জানা যায় এদিন সন্ধ্যায় বিশালগড় অফিস টিলা পালপাড়া এলাকায় বিরোধী দলের কর্মী চিন্তা হরণ পালের রাবার রোলারের মেশিনের ঘরে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়।

পরের বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি নজরে আসলে সাথে সাথে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত চিন্তা হরণ পালের অভিযোগ গত ৫ বছরে তার বাড়িতে সাতবার নাশকতা মূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এই দিনের ঘটনার পর বিশালগড় থানায় ফোন করা হলে পুলিশ ফোন রিসিভ করে নি। তাই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে চিন্তা হরণের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অভিযোগ ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ ধরনের নাশকতা মূলক অগ্নি সংযোগের ঘটনা বারংবার ঘটে চলেছে। এই দিনের ঘটনার পর দমকল কর্মী এবং বিশালগড় থানাতে ফোন করলে কেউ ফোন ধরেনি। এ নিয়ে ব্যাপক খুব প্রকাশ করেছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

বুধবার গভীর রাতে বিশালগড় জাঙ্গালিয়া এলাকার নান্টু দেবনাথের বাড়িতে নাশকতামূলক অগ্নি সংযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এদিন রাতের বেলা খাওয়া-দাওয়ার পর অন্যান্য দিনের মতোই ঘুমাতে যান নান্টু দেবনাথ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে নান্টু দেবনাথ সহ পরিবারের সকলে ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার শুরু করে। ছুটে আসে আশপাশের বাড়ি ঘরের লোকজন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে রওনা হয় দমকল কর্মীরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে পৌঁছাতে পারেনি সময়মতো দমকল কর্মীরা। যার ফলে আগুনে ভষ্মিভূত হয়ে যায় নান্টু দেবনাথের বসত ঘর। তবে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি নাশকতামূলকভাবে ঘটেছে বলে জানান নান্টু দেবনাথ। তিনি জানান পঞ্চায়েতের রেগা কাজ করে সংসার পরিচালনা করেন। কিন্তু এদিন রাতের বেলা কে বা কাহারা এই ঘটনা সংঘটিত করেছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রাণ রক্ষা করতে ঘরের বেড়া কেটে বের হয়ে আসেন বলে জানান তিনি।

তবে প্রশাসনের গাফিলতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলি অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। এবং থানায় ফোন করলে ফোন না ধরার এবং দমকল কর্মীদের ফোন করলে ফোন না ধরার বিষয় হয়তো ভূ-ভারতে নজিরবিহীন ঘটনা। কাজের সুরক্ষার জন্য এই সরকারি কর্মীরা উদ্দি পড়ে বসে আছে তা নিয়ে আরো একবার প্রশ্ন উঠছে। সুতরাং প্রশাসনিক গাফিলতিতে কতটা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই জনক গণের পয়সা দিয়ে মাসে মোটা অংক বেতন গুনে সেসব সরকারি কর্মীরা। যা হয়তো ভুলে গেছেন তারা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য