Thursday, March 28, 2024
বাড়িখেলাদুইশ ক্লাবে গিলকে স্বাগত জানালেন রোহিত-কিষান

দুইশ ক্লাবে গিলকে স্বাগত জানালেন রোহিত-কিষান

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৯ জানুয়ারি: ইশানের স্মৃতিতে স্বাদটি এখনও তরতাজা। দেড় মাসও হয়নি তিনি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। তবে তার রেকর্ডটি অতীত হয়ে গেছে এখন। গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তিনি গড়েছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। ৩৮ দিন পরই ভেঙে গেছে সেই রেকর্ড। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার দুইশ ছুঁয়ে ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরিয়ান এখন গিল।ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ কেমন, তা অবশ্য রোহিতের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। একটি-দুটি নয়, তিন-তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি তার। ওয়ানডেতে একাধিক ডাবল সেঞ্চুরি নেই তো আর কারও। হায়দরাবাদে বুধবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সেই রোহিত আর কিষান মিলে দুইশ ক্লাবে বরণ করে নিলেন গিলকে। বিসিসিআইয়ের ভিডিওতে স্থায়ী হয়ে রইল মুহূর্তটি।মাইক্রোফোন হাতে রোহিত জানতে চাইলেন ইনিংসটি খেলার পর কেমন লাগছে। অধিনায়কের প্রশ্নে লাজুক মুখে প্রতিক্রিয়া জানালেন গিল।“অসধারণ অনুভূতি আসলে… আগের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ও শেষ ওয়ানডেতেও (৭০ ও ১১৬ রান) আমার ইচ্ছে ছিল আরও বড় কিছু করার। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। এই ম্যাচে আবার ভালো শুরু পেয়ে যাওয়ার পর আমার সামনে সুযোগ আসে বড় ইনিংস খেলার। খুব ভালো লাগছে যে এবার পেরেছি।”ভারতের ইনিংসকে এ দিন বলতে গেলে একাই টেনে নেন গিল। আরেক পাশে তাকে লম্বা সময় সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। গিল যেখানে খেলেন ১৪৯ বলে ২০৮ রানের ইনিংস, সেখানে ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল ওপেনিংয়ে রোহিতের ৩৪ রান। ভারতীয় অধিনায়ক তাই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন গিলের মনোসংযোগ আর ইনিংস গড়ে তোলার ধরনের।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির পরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে কিষানকে একাদশের বাইরে রেখে গিলকে খেলায় ভারত। কারণ, প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দারা আস্থা রাখেন বছর জুড়ে ভালো করা গিলের ওপর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭০ ও শেষ ম্যচে সেঞ্চুরি করে আস্থার প্রতিদান দেন গিলও। এরপর এবার কিষানের রেকর্ড পেরিয়ে যাওয়া এই ডাবল সেঞ্চুরি।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচে খেলার কোনো সুযোগই পাননি কিষান। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে গিলের ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচে অবশ্য নেওয়া হয় তাকে। তবে খেলানো হয় চারে। লকি ফার্গুসনের দারুণ একটি ডেলিভারিতে তিনি আউট হয়ে যান ৫ রান করে।সময়ের আলোচিত দুই তরুণ ব্যাটসম্যানকে সঙ্গে পেয়ে এ দিন বেশ এক চোট মজা করে নেন রোহিত। গিল ও কিষান যে খুব ভালো বন্ধু এবং অনেকদিন ধরেই তারা খুব ঘনিষ্ঠ, এটি সবাইকে জানিয়ে কিষানের কাঁধে হাত রেখে বেশ নাটকীয়ভাবে রোহিত বলেন, “ইশান, ডাবল সেঞ্চুরির পরও তিন ম্যাচ খেললে না কেন রে ভাই…!” কিষান তখন বলেন, “ভাইয়া, অধিনায়ক তো আপনি… আপনিই ভালো জানেন…!”হাসিতে ফেটে পড়েন তখন তিন জনই। হাসির রেশ রেখেই কিষান বলেন, “তবে সমস্যা নেই। ঠিক আছে… সবকিছু থেকেই শেখার আছে।”রোহিত এরপর আরেকদফা মজা করে জিজ্ঞেস করেন, “চার নম্বরে ব্যাট করতে ভালো লাগে?” প্রাণবন্ত হাসিতে কিষানের উত্তর, “অনেক অনেক ভালো লাগে চারে ব্যাট করতে। কোনো সমস্যা নেই…।” মজার রেশ ধরেই শেষ হয় তিনজনের আড্ডা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য