স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জানুয়ারি : শুক্রবার মহাকরণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ১৫ টি নতুন পঞ্চায়েত ভবন এবং প্রথম ধাপে ১০৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত তথা ভিলেজ কমিটিতে বিএসএনএলের মাধ্যমে নতুন ইন্টারনেট সংযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। গ্রামীন এলাকার নাগরিক পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই ভবনটি সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। ২০২০-২১ সালে ১৫ টি এবং ২০২১- ২২ সালে ২৯ টি পঞ্চায়েত ভবন ত্রিপুরার জন্য বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই ৪৪ টি ভবনের মধ্যে মোট ১৫ টি ভবন এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী এই সকল গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটির নাগরিক তথা নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং কর্মচারীদের অভিনন্দন জানান। এতদিন বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা পেতে তাদের ছুটতে হতো নিজেদের ব্লক অফিসে। এখন থেকে আর তাদের তা করতে হবে না। ত্রিপুরা সরকারের পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা এই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রদান করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভবন গুলোতে এখন শুধুমাত্র সাধারণ লাইব্রেরি নয় বরং ই-লাইব্রেরী বানানো কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। একটু সুন্দর পঞ্চায়েত ভবন একটি সুস্থ এবং স্বাভাবিক কর্মসংস্কৃতি বয়ে আনে । এই ভবনগুলো থেকে জনপ্রতিনিধি এবং কর্মচারীরা সরকারকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। ভবিষ্যতে এই ভবনগুলো গ্রাম স্তরের উন্নয়নের মূল কাণ্ডারি হয়ে উঠবে এবং সরকারি পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি। আরো বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত মানে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তৎসঙ্গে ষষ্ঠ তপশিলি এলাকার যে ভবনটি মানুষের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য সব থেকে কার্যকরী ভূমিকা নিয়ে থাকে তা হল পঞ্চায়েত ভবন। এদিন সবশেষে ত্রিপুরা সরকারের গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের ২০১৮-১৯ সালের থেকে এযাবৎকাল পর্যন্ত কর্মকাণ্ডের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমডিসির ভূমিকা নন্দ রিয়াং, পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব দেবেন্দ্র রিয়াং, বিএসএনএল- র জিএম মুকেশ কুমার গুপ্তা সহ অন্যান্যরা