Friday, April 19, 2024
বাড়িরাজ্যকারা দপ্তরের খতিয়ান তুলে ধরলেন মন্ত্রী

কারা দপ্তরের খতিয়ান তুলে ধরলেন মন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ জানুয়ারি : ত্রিপুরা কারা দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৪ সালে আগরতলায় ধলেশ্বর এলাকায়। তখন ত্রিপুরা রাজসিংহাসনে ছিলেন তখন মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর। বিট্রিশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত দ্য বেঙ্গল জেল কোড ১৮৬৪ দ্বারা ২০২১ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরা কারা দপ্তর পরিচালিত হতো। ১৫৩ বছর ধরে চালু থাকা এই আইনটি যোগাপযোগী না হওয়ায় ও বর্তমান সময়ে সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় কারাবাসীদের মানবিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রবর্তিত করা হয় ত্রিপুরা সংশোধনী রুলস্ ২০২১। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল।

 আদালত কর্তৃক প্রমাণিত ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতিত ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য “দ্য ত্রিপুরা ভিকটিম কমপেনসেশান” স্কিমের অন্তর্গত ২০১৮ – ১৯ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ১০৩ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। কারা বাসীদের  স্বার্থের কথা চিন্তা করে বিশালগড় কেন্দ্রীয় শোধনাগারে সোলার সিস্টেম বসানো হয়েছে। যার ফলে সংশোধনাগারে ব্যবসায়ীদের জন্য চব্বিশ ঘন্টা বিদ্যুৎ ও তথ্য সম্পর্কিত সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কারা দপ্তরে স্বচ্ছতার মাধ্যমে ২৪৯ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে দৈহিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে চাকরি জন্য বাছাই করা হবে। দপ্তরের আই জি প্রিজন অদিতি মজুমদার জানান মহিলা কয়েদিদের যদি ছয় বছরের নিচে শিশু থাকে তাদের মার সাথে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং এই শিশুর সমস্ত সুযোগ সুবিধা সরকার বহন করে। ২০২০ সালের নিয়ম অনুযায়ী এখন সমস্ত কয়েদির সরকারি মূল্যে চিকিৎসা হয়। কয়দিদের বাড়ির সাথে ফোনে কথা বলার বন্দোবস্ত রয়েছে। এর পাশাপাশি কয়েদিদের বিভিন্ন দিকে স্বনির্ভর করতে বাঁশবেত, ফুলের চাষ এবং সবজি বাগান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে জেল থেকে ফিরে তারা নতুনভাবে জীবন শুরু করতে পারে বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই দিনের ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কারা দপ্তরের সচিব তাপস রায়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য