Thursday, April 25, 2024
বাড়িরাজ্যক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রকের উদ্যোগে আঞ্চলিক সম্মেলনের

ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রকের উদ্যোগে আঞ্চলিক সম্মেলনের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ জানুয়ারি :  সোমবার প্রজ্ঞাভবনে ক্ষুদ্র , ছোট এবং মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রকের উদ্যোগে এম এস এম ই- র টেকসই উন্নয়নের উপর আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের সূচনা করেন ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রকের মন্ত্রী নারায়ন রানে। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভানু প্রতাপ সিং ভার্মা , মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা, মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব মার্সি ইপাও, অধিকর্তা ইউসি শুক্লা, বিনম্র মিশ্রা, রাজ্য শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব  অভিষেক চন্দ্রা। ত্রিপুরা রাজ্যের নাগরিকদের বোধের মধ্যে আনতে হবে তারা ভারতবর্ষের নাগরিক।

 প্রতিবেশী রাষ্ট্র  বাংলাদেশ এবং চায়না থেকে বেশী রোজগার সৃজন  করতে হবে রাজ্যের নাগরিকদের। প্রথমবার রাজ্য সফরে এসেছেন। শান্ত , রূপসী , রূপবান রাজ্য ত্রিপুরা। উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হয়েছে ত্রিপুরা।  সেই পথেই চলছে সরকার। এই উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষুদ্র,  ছোট ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রক সর্বতোভাবে সহায়তা করবে। প্রজ্ঞা ভবনে আঞ্চলিক সম্মেলনের সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রকের মন্ত্রী নারায়ণ রানে। দেশের মূল উন্নয়নের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়ন যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার প্রদেয় অর্থগুলির সঠিক বাস্তবায়ন এবং এই যোজনা গুলির সুবিধা জনগণ  পাচ্ছে কিনা তা আধিকারিকদের নিশ্চিত করতে হবে। গ্যাস , বাস , চা , আনার এগুলি রাজ্যে ব্যাপক হারে উৎপাদিত  হয়। বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 সিকিম পারলে কেন ত্রিপুরা পারবে না এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অনুকূল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পর্যটন শিল্পের উপর গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ন রানে। এদিন গোমতী সিটি গ্যাস প্রজেক্ট, পশ্চিম ত্রিপুরা ব্যাম্বু ম্যাট ক্লাস্টার, র্যা ম পোর্টাল, উদোয়নশক্তির সূচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদ্বয়। প্রাইম মিনিস্টার এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা রাজ্যের জন্য বিগত চার বছরে  দিয়েছে মন্ত্রক । এর মাধ্যমে ১৭ হাজার ক্ষুদ্র সংস্থা গড়ে উঠেছে ত্রিপুরায়। এটা রাজ্যের জন্য বড় বিষয় । এই সংস্কৃতি আগে রাজ্যে ছিল না। কমিউনিস্টদের ৩৫  বছরের শাসনে বহু সংস্থা রাজ্য ছেড়ে চলে গেছে।  ৩৫ বছরের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী দিনে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে উঠবেই বলে জানান  মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। প্রজ্ঞা ভবনে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সম্মেলনে বিভিন্ন রাজ্যের আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা অংশ নেন। রাজ্যের জিডিপির একটা বড় অংশ আসে কৃষি থেকে। তাই  কৃষি জমির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এই জিডিপি বৃদ্ধি সম্ভব বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য