Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্য১৬ জনকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে মান্যতা দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর : রতন

১৬ জনকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে মান্যতা দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর : রতন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জানুয়ারি : রাজ্য সরকার ককবরক ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য, জনপ্রিয় করে তোলার জন্য এবং ককবরক ভাষা যাতে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় ও ককবরক ভাষাভাষীদের সুবিধার্থে কলেজগুলিতে নিয়মিত অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মোতাবেক ২২ টি ডিগ্রী কলেজের জন্য ১৮ জনকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার হিসেবে অফার প্রদান করা হয়েছে। টিপিএসির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ করা হয়েছে ।

 এরপর সহসাই তাদের পোস্টিং দেওয়া হবে। শুক্রবার মহাকরণের সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান নামে একটি প্রকল্প ২০০৯-১০ সালে রাজ্যে চালু হয়েছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে  এসএসএ এবং রামসা প্রকল্পগুলি সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্ভুক্ত হয়। আগে রামসায় নিযুক্ত ২২৮ জন কন্ট্রাকচুয়াল  টিচার বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে। এতদিন তারা মাসিক সাম্মানিক পেতো ২৬ হাজার ৭৩০ টাকা। শিক্ষা দপ্তর এই মাসিক সাম্মানিক বৃদ্ধি করে করেছে ৩০,৭৪০ টাকা। কন্ট্রাক্ট টিচারদের মাসিক চার হাজার দশ টাকা করে সাম্মানিক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে। গত নয় মাসের এই বেতন একসঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের প্রদান করা হবে। এর জন্য রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে এক কোটি ১১ লক্ষ টাকা। মহাকরণে এই তথ্য তুলে ধরেন তিনি। কলেজগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে পিজিটি ছিল। তাদের অনেকের স্লেট , নেট এবং পিএইচডি আছে।

 অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার  হিসেবে কাজ করেও তাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও  এতদিন তাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে কিছুদিন আগে পাঁচজনকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার নতুন করে আরো ১৬ জনকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে মান্যতা দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর।  আরো পাঁচজনের এই যোগ্যতা রয়েছে।  আগামী দিনে পদ সৃষ্টি করে তাদের সেই মান্যতা প্রদান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কম্পিটিটিভ পরীক্ষা গুলিতে রাজ্যের ছেলে মেয়েরা যাতে আরো বেশি মাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারে , তাদের উৎসাহিত করতে লক্ষ্য স্কিম চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এখনো পর্যন্ত চারজন এর সুবিধা নিয়েছে। তার মধ্যে একজন সফল  হয়েছে। তার নাম শতাব্দি মজুমদার। তেলিয়ামুড়ার বাসিন্দা শতাব্দী মজুমদার আইএস অফিসার হিসেবে নিযুক্তি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের আরও উৎসাহিত করতে এককালীন আর্থিক সহায়তা এক লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ। বেশি মাত্রায় যাতে ইউপিএসসি পরীক্ষায় ছেলেমেয়েরা অংশ নিতে পারে তার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য