স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জানুয়ারি : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ ২০১৮ সালের মতোই মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। বিজেপি বুঝে গেছে তাদের উপর মানুষের বিশ্বাস উঠে গেছে। তাই এখন রাজ্যে এসে মিথ্যা ভাষণ দিয়ে গেছেন। এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তারা এই মিথ্যা ভাষণে সাড়া দেয়নি। মানুষ করতালি পর্যন্ত দেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মিথ্যা ভাষণের তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানায়। শুক্রবার প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন প্রদেশ সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য সরকার এসে বক্তব্য রেখে বলেছেন সপ্তম বেতন কমিশন এবং বছরে পঞ্চাশ হাজার চাকরি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলো কিছুই হয়নি ত্রিপুরা রাজ্যে। তিনি আরো বলেছিলেন, রেগা মজুরি দৈনিক ৩৪০ টাকা করা হবে। কিন্তু এগুলি কিছুই হয়নি। এমনকি নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটাও পাঁচ বছরে পালন করতে পারেনি। বরং বিজেপির সহযোগিতায় ত্রিপুরা নেশার সাম্রাজ্যের ডুবে গেছে। প্রতি মহল্লায় মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে নেশা বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেশা মুক্ত ত্রিপুরার যে দাবি করেছে সেটাও মিথ্যে বলে গেছেন জানান পীযুষ কান্তি বিশ্বাস। রাজ্যের বহু মা-বাবা ছেলের নেশার কারণে উদ্বিগ্ন।
প্রকাশ্যে গাঁজা চাষ হচ্ছে রাজ্যে। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ব্রাউন সুগার। সরকারের এই নমনীয় ভাবের কারণে যুবসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানান তিনি। আজ মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারছে না। বিজেপি এসে পাড়ায় পাড়ায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই মানুষের উপর বাইক বাহিনী দিয়ে আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে। এমনকি কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি সরকারের ছিল, সেটাও পালন করতে পারে নি পাঁচ বছরের। বিজেপির সমর্থনে এ দিনের সভায় কেউ আসেনি। প্রশাসনকে ব্যবহার করে সভায় মানুষকে এনেছে বলে সমালোচনার ঝড় তুলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের মিথ্যা ভাষণে মানুষ প্রলোভিত হবে না। মানুষ যাতে এই ফাঁদে পা না দেয় তার জন্য আহ্বান জানান তিনি। পরবর্তী সময়ে একটি যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় এদিন।