স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ জানুয়ারি : বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আসন রফা নিয়ে বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের সঙ্গে বৈঠক করি হয়েছে। রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া ৬০ টি আসনের মধ্যে সাত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি জানায়। বৃহস্পতিবার গুর্খাবস্তি স্থিত জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে।
এদিন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরে কনফারেন্স হলে এস সি ওয়েলফেয়ার, সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা, ওবিসি কল্যাণ এবং জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে। তার জন্য দলিতসমাজ তার পাশে রয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের আসন্ন তিনটি রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতাসীন হবে। আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বিজেপি – রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়াকে দুটি আসন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে তিনটি আসন প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে। একটি এসসি, একটি এস টি এবং একটি অন্যান্যদের জন্য আসনের থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় দল। আগামী দিনে আসন সমঝোতা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রী মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামদাস আঠা ওয়ালে।
এই রাজ্যে রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া খাতা খুলতে পারবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় দেশে ২০১৮ থেকে এখনো পর্যন্ত ৩ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ আর্থিক সুবিধা পেয়েছে। রাজ্যে এক লক্ষ তিরানব্বই হাজার মানুষ এর সুবিধা নিয়েছেন। রাজ্য সরকারের দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে। ত্রিপুরার বিকাশ ও রাজ্যের মানুষকে ন্যায় দিতে এবং আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়বদ্ধ বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গুলি সম্পর্কে মানুষকে অবগত করতে। প্রতিটি জেলায় একটি বৃদ্ধা আবাস করার প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে। কোন এনজিও প্রস্তাব দিলে তা বিবেচনা করবে মন্ত্রক। দিব্যাঙ্গদের পেনশন প্রদানের প্রকল্প রয়েছে মন্ত্রকের। দিব্যাঙ্গাজনের সহায়তা করার জন্য মন্ত্রক থেকে এখনো পর্যন্ত ১১ হাজারের উপর শিবির করা হয়েছে। এই শিবিরের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন প্রায় ২৯ লক্ষ দিব্যাঙ্গজন। বয়স্কদের আর্থিক সহায়তা প্রদানেরও ব্যবস্থা রয়েছে মন্ত্রকের যোজনায়। রাজ্যে এসসিদের জনসংখ্যা হার ১৭.১৮ শতাংশ। জনজাতিদের হার ৩১. ৮০ শতাংশ, ও বি সি -দের হার ১৮.৩৫ শতাংশ এবং সংখ্যালঘুদের হার ১৪.৪২ শতাংশ। দলিতদের উপর এ রাজ্যে নির্যাতনের ঘটনা কম। বিগত পাঁচ বছরে মাত্র ৮ টি ঘটনা সামনে এসেছে বলে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ডাঃ দিলীপ দাস সহ আধিকারিকেরা।