স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ জানুয়ারি : নেশার করিডোর স্মার্ট সিটি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, এবার পথচারীরা দায়িত্ব নিয়ে সেসব নেশা কারবারীদের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। আর পুলিশ থানায় বসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজেরা বড় দায়িত্ব পালন করেছে বলে সাফাই দিচ্ছে। কিন্তু আটক হওয়া নেশা কারবারিরা বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা বটতলা এলাকায় আটক হয়েছিল। তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল স্থানীয়রা।
আর পুলিশ বলছে তাদের পুলিশ আটক করেছে । যাইহোক এই ঘটনায় মূল মাস্টারমাইন্ড কারা রয়েছে তা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই পুলিশ প্রশাসনের। জনগণের হাতে আটক নেশা কারবারিদের নিয়েই পুলিশ নিজেদের বাহাবা করছে। বৃহস্পতিবার সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার দাস সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে বলেন, বুধবার বটতলা ফাঁড়ি থানার পুলিশ ও পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ যৌথ ভাবে বটতলা মার্কেটে অভিযান চালায়। এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগার সহ দুই জন নেশাকারবারিকে আটক করা হয়। ধৃতরা হলো বিকাশ বিশ্বাস, বাড়ি আমতলি থানা এলাকায় এবং সুকান্ত বর্মণ, বাড়ি জয়নগর গাঙ্গাইল রোড। ধৃতদের কাছ থেকে ৫.২২ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। এবং ৪২ টি ব্রাউন সুগারের কৌটা উদ্ধার হয়েছে।
একই সাথে নগদ ৩ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আশা ব্যক্ত করেন পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে ধৃতদের কাছ থেকে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। ধৃতদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে আরও একজনের নাম জানা গেছে বলে জানান তিনি। তবে প্রশ্ন হলো এভাবে নেশা কারবারী দৌরাত্ম্য থেকে কি আগরতলা শহর রক্ষা করতে পারবে পুলিশ প্রশাসন ? নাকি এভাবেই চলবে শহরের নেশা কারবারিদের আনাগোনা। আর পুলিশ প্রশাসন যদি মূল মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার না করে এলাকাবাসীর হাতে আটক এবং এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে দুতিনজন নেশা কারবারিকে জালে তুলে বাহবা দেখাতে চায় তাহলে নেশা কারবারীদের সংখ্যা যেমন মাথাচাড়া দেবে তেমনি বাড়বে অপরাধমূলক ঘটনার সংখ্যা। উদ্বিগ্ন শহরবাসী।