স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ জানুয়ারি : বুধবার রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে সবুজ পতাকা নেড়ে ভ্রাম্যমান প্রাণী চিকিৎসালয়ের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এতে করে রাজ্যের ১৩.১৮ লক্ষ গৃহপালিত পশু, পাখির সঙ্গে জড়িত প্রাণী পালকরা উপকৃত হবেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস, মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যান্যরা । মানুষের মধ্যে সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কাজ যাতে এক শতাংশ নিশ্চিত করা যায় তার দায়িত্ব নিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বেনিফিশিয়ারি স্কিম গুলি সম্পর্কে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই ১০০% সফলতা আসছিল না।
প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের মাধ্যমে এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে। সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সামগ্রী। সকলের প্রচেষ্টায় এই সফলতা এসেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। কেবল মানুষকে সুস্থ রাখলেই হবে না। প্রাণিসম্পদকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে। তবেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। অন্যদিকে সরকারি চাকরির উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষের উপার্জন বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। এতে করে আগামী দিনে আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে উঠবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন দিনে দুধ, ডিম ও মাংসের ত্রিপুরাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সহায়তা পাচ্ছে ত্রিপুরা। আর এই সহায়তার উপর ভিত্তি করে বলা চলে এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে। গ্রামীন এলাকা গুলিতে এর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে একথা বলেন মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। এদিনের অনুষ্ঠানের শেষে নতুন করে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পশু চিকিৎসার সঙ্গে যুক্তদের জন্য বাই সাইকেলের চাবি ও সামগ্রী তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা।