স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ডিসেম্বর : দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আহ্বান জানিয়েছিলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলকে অস্ট্রা লাক্সমি বানানোর। এটা সহজ ছিল না। উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলির সাথে দীর্ঘ বছর যাবৎ অন্যায় হয়েছে। হাজার কোটি টাকা যা উত্তর পূর্বের জন্য কেন্দ্র থেকে পাঠানো হত তার অপব্যবহার করা হত। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি পৃথক ভাবে লক্ষ্য নিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলকে গতি দিয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রোগ্রামে মেক ইন নর্থ ইষ্টকে প্রাথমিকতা দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সড়ক, বিমান, ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও উত্তর পূর্বাঞ্চল গুরুত্ব পেয়েছে। রাবার শিল্পের স্মভাবনার কথা চিন্তা করে ত্রিপুরায় রাজ্যের শিল্পের বিকাশে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাভবনে শিল্প ও বানিজ্য দপ্তরের উদ্যোগে আজাদিকা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগ টানতে আয়োজিত ডেস্টিনেশন ত্রিপুরা ইনভেসমেন্ট সামিটের ভার্চুয়াল মাধ্যমে সূচনা করে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। জীবনে কিছু করতে হলে নতুন করে করুন। পুরনো রাস্তা এখন অচল। নতুন কিছু করলেই মানুষ মনে রাখবে। সেই দিশাতে এগিয়ে যেতে হবে। পুরনো ব্যবস্থায় যারা রাজ্য ও কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল তারাই রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে আলোচনা না করে এখন প্রধানমন্ত্রীর নতুন ভারত, আত্ম নির্ভর ভারত ও ডিজিটাল ইন্ডিয়া , আত্ম নির্ভর ত্রিপুরা নিয়ে আলোচনা করা উচিৎ। শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্র গুলির দিশাতে ত্রিপুরাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে সঠিক ক্ষেত্র চয়ন করা অত্যন্ত জরুরী। সিল্পোদ্যোগীদের জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব। স্বচ্ছতা, সদ্ভাব, সদাচার শব্দ গুলি জুড়লে একটা রাজ্য উন্নয়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবে। এদিনের অনুষ্ঠানে বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। দুদিন ব্যাপী চলবে এই সামিট। তিনি আরও বলেন ২০১৮- র পর থেকে কোন নির্বাচনে পরাজিত হয়নি বিজেপি। মানুষ সমর্থন জুগিয়ে গেছে। ত্রিপুরায় এসে সময় কাটানোর জন্য শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
নারিকেল কুঞ্জ এবং ডম্বুরের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি। আগে এই রাজ্যের মধ্যে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে চলতেন। সে কারনে কোন শিল্প আসেনি রাজ্যে। প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্বাঞ্চলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্প নিতেই এরাই পেছুতে শুরু করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৪২ শতাংশ ভোট। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তারা ভোট পেয়েছে ১৮ শতাংশ । ২০২৩ সালে ৮ শতাংশের বেশী পাবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। জানে ২০ বছর পর তাঁদের সামনে কি আসতে চলেছে। মন্ত্রীসভা ২০৪৬ পর্যন্ত ত্রিপুরার রূপরেখা তৈরি করে নিয়েছে। নবীন সমাজ ২৫ বছর পর কি হবে তা জেনে যাচ্ছে। একটা নীতি ও রূপরেখা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। আগের সরকার নিজের থেকে রাজ্যের মানুষের জন্য কোন প্রকল্প তৈরি করেনি। তাঁদের কাছে কোন জবাব ছিল না। আগে সমস্ত প্রকল্প গুলি ছিল অস্বচ্ছ ও দুর্নীতি যুক্ত। এখন গোটা ব্যবস্থায় নতুনত্ব আনা হয়েছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশ কেবল মুখে বলেন না , তা করে দেখান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন মিশন মোডে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার কাজ করে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। কচ্ছপের গতিতে কাজ করে না সরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার পর্যন্ত চলবে ডেস্টিনেশন ত্রিপুরা ইনভেসমেন্ট সামিট। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, টি আই ডি সি-র চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়, দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল। দুনিনের সামিটে অংশ নেন ১০০ উপর ছোট বড় শিল্পপতি।