Monday, June 16, 2025
বাড়িরাজ্যশিক্ষকের অভাবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী দিয়ে চলছে প্রথম থেকে তৃতীয়...

শিক্ষকের অভাবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী দিয়ে চলছে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাস

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ ডিসেম্বর : সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী মহাকরণ থেকে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার পর রাজ্যে শিক্ষক কর্মচারী সংগঠনগুলি সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য করছেন মিছিল। কিন্তু একাংশ সরকারি শিক্ষকদের উদাসীনতায় শিক্ষার হাল কতটা মুখ থুবড়ে পড়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখছে না। আর এই খবরটা দপ্তরের অভিভাবক এবং মন্ত্রী মশাই কতটা খবর রাখছেন সেটা ভাবিয়ে তুলেছে আপামর জনগণকে। কারণ বহু স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক, এর উপর আবার শিক্ষকদের গাফিলতি প্রকাশ্যে উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়।

 অভিযোগ মতিনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্কুলের প্রাথমিক বিভাগে রয়েছেন মাত্র তিন জন শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষকের দেখা পাওয়া ভগবানের দেখা পাওয়ার সমান। মর্জি হলে শিক্ষক মশাই আসেন স্কুলে, তাও কোন একজন শিক্ষক এসে এলাকা বাসিকে দেখায় স্কুলে আসেন শিক্ষক মশাইরা। কিন্তু নিয়মিত তিন শিক্ষক স্কুলে আসেন না বলে লাগাতার অভিযোগ উঠছে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে। কচিকাঁচাদের অভিযোগ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণী ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে চলছে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাস। আর এটাই মতিনগর স্কুলের গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা বলে সরকারে মুখে কালি মাখছেন স্কুলের তিন শিক্ষক। বাস্তবে এ ধরনের শিক্ষা পরিকাঠামো ভূ-ভারতে নজিরবিহীন।এলাকাবাসী তরফ থেকে আবার কেউ কেউ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সুর তুলে বাড়ি ফেরার সময় কচিকাঁচাদের সাথে প্রতিনিয়ত ট্রিপনি দিয়ে কথা বলছেন।

আল্লাহ চাইলে স্কুলের হাল ফিরবে। কিন্তু কবে ফিরবে সেটা জানা নেই। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কোন দিকে ঠেলে দিচ্ছে সেসব স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে এলাকার শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে। অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়ে আছে। স্কুলে চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণী দ্বারা যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হচ্ছে তার স্বীকার করেন স্কুলের শিক্ষক মশাই। তিনি আরো বলেন স্কুলে শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এদিকে কেউ কেউ বলেছে এ যদি গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা হয়ে থাকে তাহলে এই কচিকাঁচাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঝুকবে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করা মন্ত্রী বাবুরা দাবি করেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ। এই যদি হয় শিক্ষার হাল তাহলে কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের বিকাশ ঘটবে। সরজমিনে না দেখে স্কুলগুলি নিয়ে গর্ব করলে সমস্যার সমাধান হবে। রাস্তাঘাট অবরোধ হবে না, চতুর্থ শ্রেণী ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণীর পর্যন্ত ক্লাস করাতে হবে না তাদের। কিন্তু এ স্কুলে রয়েছে সাধারণ ঘরের ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষক কর্মচারী এবং মন্ত্রী বিধায়কদের ছেলে মেয়েদের মতো কোন বেসরকারি স্বনামধন্য স্কুলে বার্ষিক মোটা অংকের বিনিময়ে পড়াশোনা করার সাধ্য নেই অভিভাবকমহলের। কিন্তু তারপরও শিক্ষা, স্বাস্থ্য মৌলিক অধিকার। আর এর জন্যই সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলিতে জনগণ ভোট দিয়ে বিধায়ক দ্বারা মন্ত্রী নির্বাচন করে এবং জনগণের পয়সা দিয়ে সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মাসে মাসে মোটা অংকের বেতন হয়। তারপরেও এই ধরনের চিত্র হয়তো কাম্য নয় শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!