স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ ডিসেম্বর : টি টি এ এ ডি সি কাউন্সিল ভবনে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ১৯ টি জনজাতি অংশের মানুষের জন্য কাস্টোমারী ল আনা হয়েছে। মোট ১৪ টি কাস্টমারী বিল বিজেপি এবং তিপ্রা মথার সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এম ডি সি দের সমর্থনে পাশ হয়েছে। বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান উপ মূখ্যনির্বাহী সদস্য অনিমেষ দেববর্মা।
তিনি জানান, ত্রিপুরা ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে পুলিশ আইন তৈরি হয়। এতে করে যেসব জনজাতি যুবক পুলিশের চাকুরির জন্য প্রত্যাশী তারা উপকৃত হবে। তাই ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল পুলিশ জোন বিল সর্বসম্মতি ক্রমে পাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও জাতির জনজাতিদের জন্য আরো কাস্টমারী ল সংযোজন করা হবে। আগামী দিনে এইগুলি পাশ করা হবে। পাশাপাশি সরকারের ১২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন কর্মচারীদের ১২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পাওয়া তেমন কিছু নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বেতনক্রম থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আছে। পাশাপাশি সরকারি সমালোচনা করে বলেন গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরার কর্মচারীরা ৯-১০ টা মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার কথা। সুতরাং সপ্তম বেতন কমিশন হাতিয়ার করে যারা সরকারে এসেছে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে রাজ্য সরকারের বেতনক্রমে ঘাটতি পূরণ করতে পারে নি। তাই কর্মচারীদের আনন্দের কিছু নেই। বছরে দুবার মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নিয়ম মেনে আগামী জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় সরকার আরো ৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা ৬ শতাংশ পেয়ে গেলে ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের সাথে কুড়ি শতাংশে পার্থক্য হবে। তাই সরকারি কর্মচারীদের জানা দরকার সপ্তম বেতন কমিশনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়ে বর্তমান সরকার কর্মচারীদের সাথে প্রতারণা করেছে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি তিনি বিরোধী ঐক্যমঞ্চে প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার ব্যক্ত করে বলেন, বিজেপি বর্বচিত আক্রমণ ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তিপ্রা মথা। কিন্তু মথার গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি মেনে যদি কেউ জোট মঞ্চ করতে চায় তাহলে অবশ্যই স্বাগত জানানো হবে। না হলে একাই লড়বে তিপ্রা মথা বলে জানান তিনি। কিন্তু বিজেপির অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে মঞ্চ রয়েছে তার সাথে রয়েছে তিপ্রা মথা। কিন্তু মূল ইস্যু গ্রেটার তিপরাল্যান্ড।