স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ ডিসেম্বর : নির্বাচনের প্রাকলগ্নে ভাঙ্গা গড়া খেলা অব্যাহত। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তাফা দিলেন বিজেপি দলের বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাঙ্খল। এদিন পদত্যাগের পত্র নিয়ে তিনি বিধানসভায় যান। অধ্যক্ষের উদ্দেশ্যে কোনরকম কারণ না দেখিয়ে পদত্যাগ পত্রটি তুলে দেন। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা, বাপ্টু সাহা, প্রশান্ত ভট্টাচার্যী।
তিনি ৪৮ করমাছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। দিবাচন্দ্র রাঙ্খল জানান তিনি ব্যক্তিগত কারণবশত পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন বিজেপিতে থেকে গত ৫৯ মাসে ভালো কাজই করেছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনমত হয়নি বলে থাকতে পারেননি। তবে আপাতত কোন দলে যাচ্ছেন সে বিষয় নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি বলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান। সঙ্গে কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তিনি কংগ্রেসের যাওয়ার জন্যই পদত্যাগ পত্রটি জমা দিয়েছেন। যদিও বিষয়টি তিনি পরবর্তী সময়ে অস্বীকার করে বলেন সুদীপ রায় বর্মন, আশীষ কুমার সাহা ওনার বন্ধু।
সাথে এসেছে বলে তিনি কংগ্রেসের যোগদান করছেন এমন কোন বিষয় নয়। বিষয়টি পরবর্তী সময় ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান করবেন। নির্বাচন ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা। আগামী পাঁচ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্ঘন্ট ঘোষণা করবে। আর এই মুহূর্তে বিজেপির সঙ্গ আরো এক বিধায়ক ছেড়ে দেওয়ায় রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে শাসক দলের শিবিরকে। গত পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক বিধায়ক গেরুয়া শিবির এবং শরিক দল ছেড়ে যোগদান করেছেন কংগ্রেসে নয়তো তিপ্রা মথায়। এতে ভাবিয়ে তুলছে রাজ্যবাসীকে। দলের অন্দরে কি চলছে। আশিস দাস, সুদীপ রায় বর্মন, আশীষ কুমার সাহা, বৃষকেতু ত্রিপুরা, মেবার কুমার জমাতিয়া, ধনঞ্জয় ত্রিপুরার পর এখন ইস্তাফা দিলেন দিবাচন্দ্র রাঙ্খল। তালিকায় আগামী দিনে আরো কে কে রয়েছে সেটা বলা মুশকিল। একের পর এক বিধায়ক পদ পতনের ফলে এক প্রকার ভাবিয়ে ভূকম্প সৃষ্টি হয়েছে। কোন পথে হাঁটছে রাজ্য রাজনীতি সেটা ভোরের কুয়াশার মতো ঝাপসা রাজ্যবাসী কাছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ভোরের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে কোন পথে হাঁটছে রাজনীতির প্রেক্ষাপট।