Saturday, April 20, 2024
বাড়িরাজ্যবামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের জোটের ইঙ্গিত

বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের জোটের ইঙ্গিত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ডিসেম্বর : নির্বাচন দোরগোড়ায়। ইতিমধ্যে সবকটি রাজনৈতিক দল ময়দানে নেমে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এক প্রকার ভাবে জল মেপে নিয়েছে। তবে শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দল এককভাবে ময়দানে ঝাপাতে দ্বিধাবোধ করছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এককভাবে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে না। জোট হয়ে লড়াই করে ত্রিপুরা থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে অভ্যন্তরীণ আলোচনা জারি রেখেছে। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বামফ্রন্ট সিপিআইএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই, আরএসপি এবং কংগ্রেস এক মঞ্চে আসার বিষয়টি।

 বিরোধী ঐক্যের এই জোট নিয়ে আভ্যন্তরীণ বৈঠক চলছে শীর্ষ নেতৃত্বের বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর। গত ৫৮ মাসে রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, দপ্তরে দপ্তরে দুর্নীতি, কাজ ও খাদ্যের অভাব সহ একাধিক ও অভিযোগ তুলে এক সুরে ময়দান ফাটাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই বিষয়গুলি বিরোধীরা সামনে রেখে জোট হয়ে রাজনৈতিক আবহে নয়া রাজনীতির জন্ম হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন এবং আরক্ষা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বামফ্রন্ট রাজনৈতিক দলগুলি এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। যদিও এ বিষয়টি মঙ্গলবার এড়িয়ে যাননি সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, নির্বাচন আগামী কিছুদিন পর ঘোষণা হওয়ার হলে কি সিদ্ধান্তে আসা যায় সে বিষয়টা দেখা যাবে। কারণ মঙ্গলবার যে বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়েছে তা স্পষ্ট। গত ৫৮ মাসে ত্রিপুরা রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, সংবিধান অচল, আইনের শাসন নেই। তাই সংবিধানকে যদি নিজের পায়ে না দাঁড় করানো যায় এবং চাকা না ঘুরানো যায় তাহলে গত ৫৮ মাসে যতগুলি নির্বাচন প্রহসন হয়েছে সেগুলোর মতোই হবে। তাই সিপিআইএম চায় সকলে এক ছাতার নিচে আসার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করার। এতে করে আগামী দিনে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজনৈতিক মোড় ঘোরার নয় রাস্তা হবে। এবং যারা এই বিবৃতির মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রসঙ্গত এই বিবৃতির মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের গণতন্ত্র অপহরণ, নাগরিক স্বাধীনতা, বিরোধী রাজনীতিক দলগুলির কন্ঠরোধ, সংবাদ মাধ্যমে স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সত্তা বিপর্যস্ত, আইনশৃঙ্খলা চরম অবনতি সহ একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং আরক্ষা প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

রাজ্যের সমস্ত ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে দাবী জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর আইনে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। এক পাশাপাশি রাজ্যের সকল অংশের মানুষকে প্রতিবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এবং এই বিবৃতির মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, সিপিআই দলের রাজ্য সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস, ফরওয়ার্ড ব্লকের চেয়ারম্যান পরেশ সরকার, আরএসপি দলের সম্পাদক দীপক দেব, সিপিআই (এম এল) দলের সম্পাদক পার্থ কর্মকার।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য