Friday, February 7, 2025
বাড়িরাজ্যআগরতলা পুর নিগমের শপথ গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত

আগরতলা পুর নিগমের শপথ গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ ডিসেম্বর : বুধবার আগরতলা পুর নিগমের নব নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এদিন একে একে আগরতলা পুর নিগমের ৫১ টি ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত বিজেপি প্রার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান রিটার্নিং অফিসার তথা পুর নিগমের কমিশনার তথা পশ্চিম জেলার জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন।

 এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, মন্ত্রী রতন লাল নাথ, মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, প্রদেশ বিজেপি-র সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, আগরতলা পুর নিগমের প্রাক্তন মেয়র প্রফুল্ল জিৎ সিনহা সহ অন্যান্যরা। একে একে ৫১ জন কাউনিন্সার হিসাবে শপথ নেওয়ার পর প্রথা মেনে বৈঠক করে মেয়র ও ডেপুটি মেয়র হিসাবে নির্বাচিত করেন আগরতলা পুর নিগমের ১৬ নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী বিজেপি প্রার্থী দীপক মজুমদার ও ৪৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মনিকা দাস দত্তকে। এরপর তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব কিরন গিত্যে। মেয়র ও ডেপুটি মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর ফের প্রথা মেনে সর্ব সম্মতি ক্রমে ৮ জন মেয়র ইন কাউন্সিলারের নাম ঘোষণা করা হয়। এই ৮ জন মেয়র ইন কাউন্সিলকে শপথ বাক্য পাঠ করান নগড়োন্নয়ন দপ্তরের সচিব কিরন গিত্যে। এদিন মেয়র ইন কাউন্সিল হিসাবে শপথ নেন জগদীশ দাস, শম্পা সেন সরকার, হীরালাল দেবনাথ, হিমানী দেববর্মা, তুষার কান্তি ভট্টাচার্য, বাপি দাস, উদয় ভাস্কর চক্রবর্তী, হরিসাধন দেবনাথ।

এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে বিরোধী দলেরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোট। পুর ও নগর নির্বাচনে প্রায় ৫৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় কমিউনিস্টদের ভোট হ্রাস পেয়েছে। তার থেকে বুঝা যায় কমিউনিস্টের ভোটাররা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। তারপরও কমিউনিস্ট নেতৃত্বরা সাংবাদিক সম্মেলন করে জনতাকে অপমান করছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনে জনগণ কমিউনিস্টদের ভোট ১৮ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৮ শতাংশে নিয়ে আসবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুর ও নগর এলাকার নির্বাচনে ত্রিপুরার মানুষ ইতিহাস তৈরি করে দিয়েছে। সমগ্র রাজ্যে বিরোধীরা মাত্র ৫ টি আসন পেয়েছে। ১০০ বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখা সিপি আইএম পেয়েছে মাত্র ৩ টি আসন। নাম করে তৃনমূল কংগ্রেসকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যারা পাখা লাগিয়ে ত্রিপুরায় এসেছিল তারা মাত্র ১ টি আসন পেয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ত্রিপুরার মানুষ লাগাতর বিজেপিকে ভোট দিয়ে বিজেপির ভোটের শতাংশ বৃদ্ধি করে চলেছে। ২০২৩ সালের ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে ৭৫ শতাংশ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। সেই দিশাতে ত্রিপুরা চলছে।

২০২৩ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই নির্বাচনকে মাথায় রেখে আগরতলা পুর নিগমের নব নির্বাচিত মেয়র ডেপুটি মেয়র, মেয়র ইন কাউন্সিলার ও কাউন্সিলারদের কাজ করার বার্তা দেন। বিগত দিনে নিগম এলাকার মানুষ যে সকল অভিযোগ গুলি বিভিন্ন সময় তুলেছে, সেই সকল অভিযোগ গুলি যেন আগামিদিনে নিগমবাসি তুলতে না পারে তার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। সবকিছু একদিনে করা যাবে না। কিন্তু কাজ করতে হবে। সরকারী কর্মচারীদের দিকে তাকিয়ে না থেকে ছোট ছোট কাজ গুলি নিজের উদ্যোগে করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরা আমাদের এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ত্রিপুরাবাসি প্রমান করেছে বর্তমান সরকার ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসীর সরকার। এই সরকার কোন ব্যক্তি কিংবা দলের নয়। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও বলেন নব নির্বাচিত কাউন্সিলারদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আগরতলার চিত্র পাল্টে যাবে। সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। তাহলে ২০২৩ সালের রাস্তা খুলে যাবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য