স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ ডিসেম্বর : সরকারে না থাকলেও বাম আমলের মাফিয়াদের তান্ডব এখনো বোধজংনগর থানা এলাকায় অব্যাহত রয়েছে। তাহলে সরকার তুমি কার বলে প্রশ্নবোধক চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকাবাসীর মনে। সরকার পরিবর্তনের পর হাতেগোনা দুই থেকে তিন মাস আত্মগোপন করে থাকার পর মোটা অংকের বিনিময়ে আবারো এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে ভিলেনদের এন্টি হয়েছিল ২০১৮ সালে।
আর এটা একেবারে উপর মহল পর্যন্ত জানা রয়েছে বলে কান পাতলে শোনা যায় এলাকায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এ ধরনের অভিযোগ গত পাঁচ বছর ধরে উঠে আসলেও সরকার বাহাদুরে কোন মাথা ব্যাথা নাই। যার ফলে এবার নির্বাচন আসতে এলাকায় শুরু হয়েছে সেই কুখ্যাত মাফিয়াদের তাণ্ডব বলে অভিযোগ। তারা এলাকার পুরনো নেতাদের কথায় কাজ করে চলেছে। যার ফলে শাসক দলের কর্মীরা এখন এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বাড়িতে প্রবেশ করে বিজেপির পৃষ্ঠা প্রমুখকে হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনার অভিযোগ উঠে এসেছে। আর এই প্রাণনাশের হুমকি দেয় কুখ্যাত দুই মাফিয়া বিনয় গুপ ও দুলাল গুপ্ত বলে অভিযোগ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সম্প্রতি বোধজংনগর থানা এলাকায় পৃষ্ঠা প্রমুখ সুশান্ত অধিকারীর বাড়িতে প্রবেশ করে এলাকার বাম আমলের কুখ্যাত মাফিয়া দুলাল গুপ্ত এবং বিনয় গোপ হুমকি দেয় বিজেপি ছেড়ে ঘরে বসে থাকার জন্য। কিন্তু বিজেপি করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। তাদের সাথে জোটে রয়েছে এলাকার মন্ডলের নেতারা বলে জানায় পৃষ্ঠা প্রমুখ সুশান্ত আধিকারিকে। অবিলম্বে সে যদি বিজেপি দল না ছেড়ে আসে তাহলে তাকে সুপার খিলাড়ি দিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে খুন করা হবে। গোটা পরিবারটি বাড়িতে থাকতে পারবে না বলে হুমকি দিয়ে যায় পৃষ্ঠাপ্রমুখের মা -র কাছে। পৃষ্ঠাপ্রমুখের মা এখন অসহায় অবস্থায় ছেলের প্রাণ ভিক্ষা চাইছে রাজ্য সরকারের কাছে। পৃষ্ঠাপ্রমুখ সুশান্ত অধিকারির বক্তব্য তারা বাম আমলে এলাকায় মাফিয়া রাজ করেছে।
তারা তাকে সুপার খিলাড়ি দিয়ে খুন করবে বলে তার মার কাছে হুমকি দিয়ে গেছে। তখন সে বাড়িতে ছিল না। পরবর্তী সময়ে বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পেরে ১৭ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বোধজং নগর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি বলে তার অভিযোগ। আজকে যে বিষয় হলো ঘটনার পর এখন পর্যন্ত এলাকার গুরুদেবের কোন শব্দ নেই। পয়সা দিয়ে মন্ডল নেতাদের মুখ বন্ধ করে রেখেছে এই দুই কুখ্যাত মাফিয়া বলে অভিযোগ। বাম আমলে তারা এলাকায় খুন সন্ত্রাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত করেছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু এলাকাবাসী ভেবেছিল হয়তো বাম আমলের পতন যেহেতু হয়েছে এখন বিজেপি সরকারের আমলে এলাকার নিরাপত্তা ফিরবে। কিন্তু কোথায় কি ? বিজেপি সরকারের কাছে পুলিশ থাকার পরেও যেহেতু অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না, তাতেই স্পষ্ট ডাল মে কুচ কালা হে। সুতরাং আসন্ন নির্বাচনের প্রাকলগ্নে এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এখন বিরোধী দলের মাফিয়াদের তাণ্ডবে কাবু হয়ে আছে।