স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ ডিসেম্বর : ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের আর রাজনৈতিক রং না দেওয়ার জন্য অনশন মঞ্চ থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানান ক্ষতিগ্রস্ত ১০,৩২৩ শিক্ষক সমাজের নেতা প্রদীপ বণিক। মঙ্গলবার আগরতলা রবীন্দ্র শত বার্ষিকী ভবনের সামনে অনশন মঞ্চ থেকে সংগঠনের নেতা প্রদীপ বণিক আরো জানান, আসামের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাডার চেয়ারম্যান হিমন্ত বিশ্বাশর্মা এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা দুজনই অগণিত গণদেবতার আশীর্বাদে চেয়ার পেয়েছেন। দুজনেরই হারানোর মতো কোনো কিছু নেই। কিন্তু ২০১৮ সালে চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ হতাশ হয়ে টানা ২৫ বছরের সরকারকে উৎখ্যাত করেছিল।
বর্তমানে এই রাষ্ট্রবাদী দলের বহু নেতৃত্ব কুম্ভ-নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে আছেন। কিন্তু ২০১৮ সালের আগে রাজ্যের গুড লিডার হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং সুনীল দেওধরের নেতৃত্বে রাজ্যের তিপ্পান্নটি বিধানসভা কেন্দ্রে ১০,৩২৩ প্রবাস করেছিল। কিন্তু রাজনীতি করার জন্য নয়। ১০,৩২৩ -এর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখের গ্রাস ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আজ ভারতীয় জনতা পার্টির বহু নেতৃত্ব সেই বিষয়টা অস্বীকার করছেন। তাই আজ এই সরকারের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে ত্রিপুরা মানুষ বোকা নয়। মানুষ সেই প্রতিশ্রুতি গুলি মনে রেখেছে। মানুষ এইগুলি হিসেব চাইছে। তাই আসামের মুখ্যমন্ত্রী আর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দুজনের মনোবল এবং সদিচ্ছায় প্রয়োজন। কিন্তু সেই জায়গায় তারা অনেকটা পিছিয়ে গেছেন। মানুষ তাদের কাছে হিসেব চাইবে বলে জানান প্রদীপ বণিক। এদিন অনশন মঞ্চের ৬২ তম দিন থেকেও তারা সরকারের কাছে ন্যায়ের দাবি জানান। এখন দেখার বিষয় সরকার কি ভূমিকা গ্রহণ করে।