Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যপ্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই সমালোচনা তুললেন সিপিআইএম

প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই সমালোচনা তুললেন সিপিআইএম

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ডিসেম্বর :  গত এপ্রিল মাসে সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সম্মেলনে নীতিগতভাবে প্রকাশ হয়েছে বিজেপিকে পরাস্ত করতে সবকটি গণতান্ত্রিক শক্তি এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানানো হয়। তবে সেই রাজ্যে বিজেপিকে পরাস্ত করতে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে শেষ স্ট্রেটেজি নেওয়ার কথাও বলা হয়।

কিন্তু এর আগে জনগণের আস্থা অর্জন করতে একটা নীতি অনুসরণ করে এক মঞ্চে আসতে বলা হয়েছে। এবং এই মঞ্চ থেকে জনগণের কাছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মনোভাব তুলে ধরতে হবে। বৃহস্পতিবার সিপিআইএম রাজ্য দপ্তরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন এই সরকারের মেয়াদ আর এক মাসও নেই।

তাই এখন এ সরকার মিথ্যা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য সফর নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বলেন আগামী ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। আর এই মুহূর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে, সরকারি মেশিন কাজে লাগিয়ে এবং সরকারি পয়সায় মানুষজনকে ডেকে আগাম নির্বাচনী প্রচার সেরে নিতে সফরে আসছেন তিনি। এর জন্য সরকারিভাবে জেলা শাসক এবং ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের কাজে লাগিয়ে প্রত্যেক ব্লক থেকে লোক আনার জন্য টার্গেট দিয়ে দেয়। এর জন্য আই এস সন্দীপ রাঠোর একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। এবং নির্দেশিকা গোটা রাজ্য থেকে পঞ্চাশ হাজার মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নেওয়ার জন্য টার্গেট বেদে দেওয়া হয় সরকারিভাবে। অপরদিকে প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে থেকে বুধবার সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী বলছেন ৫০ হাজার মানুষের সমাগম হবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়। সুতরাং সরকার এবং দল একাকার হয়ে কাজ করছে তা আবারো স্পষ্ট হয়ে গেছে। আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে গেছে তাদের লোক আনার ক্ষমতা নেই। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ পদ ব্যবহার করে এবং সেই ব্যক্তিত্বের অংশ নেওয়া মানে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা এক অন্যতম নমুনা। এর কোন নৈতিকতা নেই। দেশে এ ধরনের দেউলিয়াপনা আগে কখনো দেখা যায়নি। তারা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে এগুলি করছে। প্রধানমন্ত্রীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে এ ধরনের কার্যকলাপ করায় নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রতন দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য