আগরতলা। ১৪ ডিসেম্বর। সকলকে এক সাথে নিয়োগের দাবিতে গত ১২ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে এস টি জি টি -র যুবক যুবতীদের উপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। উদ্দি পড়া পুলিশ অফিসারদের স্পষ্টীকরণ দেওয়া দরকার কেন যুবক-যুবতীরা এদিন বাড়ি ফেরার সময় লাঠিপেটা করা হয়েছে। শান্তি সম্পূর্ণভাবে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যাওয়া যুবক যুবতীদের উপর এভাবে চড়াও হয়ে লাঠিপেটা করার অধিকার কি পুলিশ প্রশাসনের রয়েছে ?
বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলন করে জানতে চাইলেন এস টি জি টি -র যুবক-যুবতীরা। তাদের অভিযোগ পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি দিয়েও দেখা করার সুযোগ পায়নি তারা। পরবর্তী সময়ে গত কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির সামনে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারপরও বেকার যুবক যুবতীরা দল রাজ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এমন কোন ঘটনা সংঘটিত করেনি। তাহলে এমন কি ঘটনা ঘটে গেল গত ১২ ডিসেম্বর যে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় তাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। আর এই লাঠিচার্জ করার জন্য তাদের কি মন্ত্রী মশাই নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি পুলিশ নিজে থেকে লাঠিচার্জ করেছে, এর জবাব চাইছে এসটিজিটি -র যুবক-যুবতীরা।
আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের উপস্থিত বিপ্লব বণিক নামে এক যুবক জানান শিক্ষামন্ত্রী গাড়িতে উঠে পুলিশকে বলেছিলেন ক্লিয়ার করার জন্য। বিষয়টি টের পেয়ে যখন যুবক যুবতীরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তখন পুলিশ তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এভাবে মারধর করেছে। আরো বলেন মন্ত্রী ভুলে গেছেন শিক্ষকের অবদান। ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক সমাজের মেরুদন্ড। যারা এদিন রাস্তায় মার খেয়েছেন তারা আগামী দিনে সমাজের মেরুদন্ড। আরো বলেন দুদিন হয়ে গেছে এই ঘটনার পর এখন পর্যন্ত সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি বলে তীব্র সমালোচনা করেন তারা। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলছেন এস টি জি টি শিক্ষক নিয়োগে অর্থের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু অর্থ দপ্তরের মন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা কখনো বলেননি যে অর্থের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বারবারই বলেছেন শিক্ষামন্ত্রীকে ফাইল পাঠানোর জন্য বলতে। আর এর দাবি জানাতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটার ঘটনার অত্যন্ত নিন্দা জানায় তারা।