স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ ডিসেম্বর : সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আগামী ১৮ ডিসেম্বর একদিনের রাজ্য সফরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ সফরসূচী সম্পর্কে এখনো পি এম ও থেকে জানানো হয়নি। এখন পর্যন্ত যে সফরসূচী জানানো হয়েছে তাতে আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় মিনিটে এম বি বি বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখান থেকে সড়ক পথে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আসবেন তিনি। বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী সফর সূচি সম্পর্কে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। লভ্বার্থী নিয়ে আয়োজিত সভায় সম্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি কথা বলবেন বেনিফিশিয়ারি সঙ্গে। এর বাইরে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের স্থান পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্য সচিবের পৌরহিত্যে আধিকারিকদের নিয়ে পৃথকভাবে বৈঠক হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে স্বচ্ছ ভারতের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এটা পৃথিবীতে সুনামির সঙ্গে ভারত বর্ষকে উচুস্থানে নিয়ে গেছে। তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আগরতলা শহরকে স্বচ্ছ রাখার জন্য। আরো স্বচ্ছ ও নির্মল রাখতে বিশেষ আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনদিনের স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে মন্ত্রী বিধায়ক সহ আধিকারিকেরা অংশ নিবেন। এই কর্মসূচিকে ঐতিহাসিক রূপ প্রদান করার জন্য প্রতিটি জেলা ও মহকুমাকে অবগত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ ঘর প্রদান করা হয়েছে। দিল্লি থেকে এই প্রকল্পের অর্থ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিগত দিনে এই ইতিহাস নেই রাজ্যে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকদের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে জল জীবন মিশনের সুফল যারা পেয়েছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি বলে জানান সুশান্ত চৌধুরী।
জল জীবন মিশন গ্রামীনে রাজ্যে বাড়ির সংখ্যা হচ্ছে ৭ লক্ষ ৪২ হাজার। এর মধ্যে জলের সংযোগ দেওয়া গেছে চার লক্ষ দশ হাজার। এখন সফলতার হার ৫৬ শতাংশ। এক লক্ষ সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত দপ্তর। গত তিন দিন আগে ১৬৬ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার প্রদান করেছে। প্রতিবছর চার বার এই অর্থ প্রদান করা হয়। সাফল্যের উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রীয় সরকার এই অর্থ প্রদান করে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই এক লক্ষ জলের সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ সঠিক সময় না মেলায় এ প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ ও শহর মিলিয়ে তিন লক্ষ মানুষ গৃহ নির্মাণের সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ পরিসংখ্যান ২ লক্ষ ৩০ হাজার। পি এম কৃষানের সুযোগ পেয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার কৃষক। এতে করে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ঘটছে। মানুষের বুনিয়াদ শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানান তিনি।