স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ ডিসেম্বর : প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দায়িত্ব পেলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পীযুষ কান্তি বিশ্বাস। উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। পীযুষ খাদ্যে বিশ্বাসের সাথে সেদিন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকগণ তেজেন দাস, অনন্ত ব্যানার্জি, বিমল রৌদ্রপাল, প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি পূর্নিতা চাকমা, সমরেন্দ্র ঘোষ যোগদান করেছিলেন। তারা রাজ্যে ফেরার পর তাদের স্বাগত জানায় প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।
মিছিল সংগঠিত করে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে আসেন পীযুষ কান্তি বিশ্বাস। তারপর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। সংসদ সুস্মিতা দেব উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান পীযুষ কান্তি বিশ্বাসকে। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিলমোহর অনুযায়ী প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি জানান, ছাত্র জীবন থেকে তিনি কংগ্রেস কর্মী হিসেবে ছিলেন। সিপিআইএমের ২৫ বছর জনগণের কাছ থেকে সহযোগিতা পেলেও ত্রিপুরা থেকে বামফ্রন্টের অপশাসন উৎখাত করা যায়নি একমাত্র দলের কর্মীদের জন্য। কংগ্রেসের অন্দরে একাংশ নেতৃত্বদের ক্ষমতার লোভে ২০১৮ সালে কংগ্রেসের ভোট দুই শতাংশের নিচে এসে নামে। কংগ্রেসের ভোট দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিজেপির সরকার। তারপর কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সুযোগ পেয়ে ১৮ মাসে কংগ্রেসের জেলা কমিটি এবং কোন শাখা সংগঠন গড়ে তুলতে পারেন নি। বহুবার সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে অবহিত করার পরেও কোন ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করেনি। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি কংগ্রেস দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ সুস্মিতা দেবের কাছ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তাই দিল্লি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করার পর জানতে পারেন তিনি ত্রিপুরা থেকে স্বৈরাচারী শাসন মুক্ত করে গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট আন্তরিক। আর এই আন্তরিকতা দেখে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন বলে জানান। আরো বলেন দিন দিন কংগ্রেসের প্রতি মানুষের সমর্থন ক্ষয় হচ্ছে। কঠোর পরিশ্রম করলে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। রাজ্যের মানুষ কোন অবস্থাতেই বিজেপিকে আর চায় না। আর এতে কোন সংশ্রয় নেই। তাই আগামী দিনে ত্রিপুরার মাটি থেকে এই স্বৈরাচারী শাসন মুক্ত করতে যা যা করণীয় করবে তৃণমূল কংগ্রেস। বাইক বাহিনী এবং প্রশাসন দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখা যাবে না বলে জানেন তিনি। প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে এদিনের আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।