স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ ডিসেম্বর : শিক্ষা দপ্তরের ডেপুটেশন দেওয়ার পর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী দ্বিতীয় দফা বৈঠক করে যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তাহলে বিক্ষিপ্ত আন্দোলনে নামবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক সমাজ ১০,৩২৩। এবং বলা হয়েছিল যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তাহলে গোটা রাজ্যে বিক্ষিপ্ত আন্দোলনে নামবে তারা।
কিন্তু দেখা গেল রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে মঞ্চ থেকে বিক্ষিপ্ত আন্দোলনে নামার তো দূরের কথা রাস্তায় নামলো না সংগঠনের চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। পুরনো কায়দায় নিত্যদিনের মতো খালি হুশিয়ারি দিয়ে গেলেন তথাকথিত অনশন মঞ্চ থেকে। ৫২ তম দিনেও পূরবতন তেল মার্জিত নেতারা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবির কথা জানায়। এবং মানবাধিকার কমিশনকে তীব্র ধিক্কার জানান। এদিন সংগঠনের নেতা প্রদীপ বণিক জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল তাদের চাকুরিচ্যুত হতে হয়েছে। কিন্তু এ মামলায় সকলে পক্ষভুক্ত নয়।
কিন্তু আজকে দীর্ঘ মাস যাবত বেতন ভাতা না পেলেও রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। তাই মানবাধিকার দিবসে তারা মুখে কালো ফিতা বেঁধে বয়কট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যারা আগে শিক্ষা দপ্তরে আধিকারিক ছিলেন তারা বর্তমানে মানবাধিকার কমিশনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তাদের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল হয়ে মানবাধিকার কমিশনকে ধিক্কার জানিয়েছে। এবং এই দিনটি বয়কট করতে ব্যানারে মধ্যে থাকা মানবাধিকার কমিশনের লোগো কেটে তীব্র প্রতিবাদ জানান। আরো বলেন তারা যে আর বি টি চাকরি চায় না। মানবাধিকার কমিশনের সহযোগিতায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্কুলমুখী হতে চায়। তবে এদিনও মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ার দিয়েছেন স্কুলমুখী না করলে তারা আগামী দিনের বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।