স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ডিসেম্বর : রাজ্যের সমস্ত প্রকার প্রাণী সুরক্ষা ও প্রাণী রোগ সংক্রমণের সমস্যা সমাধানে রাজ্যের সর্বপ্রথম মোবাইল ভেটেরিনারি ইউনিট প্রকল্প চালু হতে চলেছে। চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার এ প্রকল্পের রাজ্যের জন্য প্রাথমিকভাবে দুই কোটি আট লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেছে। এছাড়া ১৩ টি অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বাৎসরিক খরচে ৯০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে। বাকি দশ শতাংশ রাজ্য সরকার গ্রহণ করবে।
এ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৩ টি প্রানি সুরক্ষা এম্বুলেন্স রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিভ্রমন করবে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে একজন করে প্রানি চিকিৎসক একজন প্রানি চিকিৎসা সহায়ক এবং একজন চালক দিনরাত কর্তব্যরত অবস্থায় থাকবেন। শুক্রবার মহাকরণে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান দপ্তরের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মুখ্য সচিব বি এস মিশ্রা। এই গাড়িগুলি একটি কেন্দ্রীয় কল সেন্টার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। কৃষকরা একটি সুনির্দিষ্ট টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় কর্তব্যরত ভ্রাম্যমান চিকিৎসকের কাছে ফোন চলে যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক কৃষকদের বাড়িতে পৌঁছে অসুস্থ প্রানির চিকিৎসা শুরু হবে। এই প্রকল্প চালু হলো করার মূল উদ্দেশ্য হলো সমস্ত প্রকার আধুনিক প্রাণী চিকিৎসা ব্যবস্থা কৃষকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য বাৎসরিক ১৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি ভেটেরিনারি এম্বুলেন্স রাজ্যে এসে পৌঁছাবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অ্যাম্বুলেন্স রাজ্যে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা কৃষক বন্ধুদের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার মোট ১৪৪ জন অতিরিক্ত স্বরোজগারী ভ্রাম্যমান কৃত্রিম প্রজনন কর্মীকে তিন মাসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৪ জনকে প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে এবং ৪৭ জনকে কাজে যুক্ত হয়েছে। বাকী ৫০ জনের প্রশিক্ষণ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।
গত ২ নভেম্বর ভেটেরিনারি অফিসারের ৫১ টি শূন্য পদ পূরণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। টি পি এস সি মাধ্যমে তাদের নিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।